এই মুহূর্তে




অলৌকিক! আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন এক যাত্রী




নিজস্ব প্রতিনিধি, আহমেদাবাদ: কথায় বলে ‘রাখে হরি মারে কে?’ আহমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের এক যাত্রী বরাত জোরে বেঁচেছেন। মৃত্যুকে জয় করে বেঁচে ফিরে আসা ওই যাত্রীর নাম  রমেশ বিশ্বাস কুমার। তিনি বিধ্বস্ত বিমানটির  ১১এ আসনের যাত্রী ছিলেন। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে রীতিমতো হেঁটে বেরিয়ে আসছেন  রমেশ বিশ্বাস কুমার নামে ওই যাত্রী। হাঁটতে হাঁটতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন ‘ঈশ্বরের অশেষ করুণায় বেঁচে ফিরেছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না বেঁচে রয়েছি।’ ইতিমধ্যে  ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে চিকি‍ৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অথচ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী এবং আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার দুজনেই জানিয়েছিলেন, ভেঙে পড়া বিমানের কোনও যাত্রী বেঁচে নেই। ফলে প্রশ্ন উঠেছে কিসের ভিত্তিতে ওই কথা বলেছিলেন দুজনে? সব দেহ উদ্ধারের আগেই কীভাবে সবার মৃত্যু ঘোষণা করা হল?

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়ান দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ বিমানটি। আহমেদাবাদ থেকে ব্রিটেনের গ্যাটউইক যাওয়ার কথা ছিল।  রানওয়ে ২৩ থেকে ওড়ার এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে। ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, ভেঙে পড়ার আগে বিমানটি মাটি থেকে ৬২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল। উপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত গতিতে নীচের দিকে নেমে আসতে শুরু করে। তার পরই সেটি মেঘানিনগরের কাছে বসতি এলাকায় চিকি‍ৎসকদের একটি আবাসনের উপরে ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিকের পাশাপাশি সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন। বিমানটি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্য শুরু করে দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা  বাহিনী ও সেনা জওয়ানরা।

আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক জানিয়েছেন, ‘ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে ৪০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে কারও বেঁচে থাকার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না।’ উল্লেখ্য, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী বিমানটিতে যাত্রী হিসাবে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। দুর্ঘটনায় তিনিও প্রাণ হারিয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়ে দিয়েছেন গুজরাত পুলিশের ডিজি।  তবে কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল তা জানা যায়নি। কারণ অনুসন্ধানে বিধ্বস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লি থেকে গুজরাতে পৌঁছেও গিয়েছেন তিনি।

উড়ানের খানিকবাদেই ভেঙে পড়া লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইন বিমানের কোনও যাত্রী  বেঁচে নেই বলে জানিয়েছিলেন আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস  মালিক। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষা‍ৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি চুরমার হয়ে গিয়েছে। ফলে কোনো যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে ১৭৬ যাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনেকের শরীর আগুনে এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে শনাক্তকরণ সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিমানটিতে থাকা যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের দেহ শনাক্তকরণের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।’

 

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অ্যামাজনের মাধ্যমে বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছিল পুলওয়ামার হামলাকারীরা, বিস্ফোরক দাবি FATF-এর

ইয়েমেনে খুনের দায়ে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়াকে ফাঁসি দেওয়া হবে ১৬ জুলাই

ফাঁকা ট্রেনে মহিলাকে গণধর্ষণের পর ছুঁড়ে ফেলা হল চলন্ত ট্রেনের সামনে, নারকীয় ঘটনা হরিয়ানায়

‘ড্রিমলাইনার সবচেয়ে নিরাপদ’, বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদীয় সমিতিকে সাফাই এয়ার ইন্ডিয়ার

বিহারে সরকারি চাকরিতে মেয়েদের ৩৫% সংরক্ষণ! মহিলা ভোট টানতে নয়া চাল নীতীশের

দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে NRC নোটিশ, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ