নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মণিপুরে জাতি হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কোনও নির্দেশ দিতে রাজি হল না শীর্ষ আদালত। সোমবার মণিপুরের চলতি হিংসা বন্ধের আর্জি জানিয়ে দায়ের হওয়া একাধিক আর্জির শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্টই বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের হাতে প্রভূত ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিচালনার দায়িত্ব আদালতের নয়। ওই কাজের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। আমরা চাই না, রাজ্যে সহিংসতা বাড়াতে আদালতকে ব্যবহার করা হোক।’
গত ৩ মে থেকে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরে কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এখনও পর্যন্ত ওই সংঘর্ষে দেড়শোর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি পরিবার। সেনা নামিয়ে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। মণিপুরে জাতি হিংসা বন্ধের জন্য হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে একাধিক আর্জি জমা পড়েছিল।
এদিন মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস বলেন, ‘মণিপুরে যে জাতি হিংসার ঘটনা ঘটছে তা আসলে রাজ্য প্রশাসনের মদতপুষ্ঠ। প্রশাসনের মদতেই প্রাণঘাতী লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গিরা। আর প্রাণ দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু মিছিলের সারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ফলে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করুক। রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিক। সেই ক্ষমতা শীর্ষ আদালতের রয়েছে।’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা জানি আদালতের প্রভূত ক্ষমতা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট কী ধরনের উপশম করতে পারে, তা সবার জানা উচিত। কিন্তু আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিচালনা করতে পারি না। আইনশৃঙ্খলা পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের।’