নিজস্ব প্রতিনিধি: এনকাউন্টারে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। তাঁর সেই আশঙ্কা অবশেষে সত্যি হল শনিবার রাতে। যোগীর পুলিশের ঘেরাটোপে থাকাবস্থায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন আতিক এবং তাঁর ভাই আশরাফ।
১৯ বছর আগে ২০০৪ সালে সাংবাদিকদের আতিক বলেছিলেন ‘এনকাউন্টারে নিহত হব, অপরাধীদের কেউ মারবে অথবা পুলিশ।’ তাঁর সেই আশঙ্কা অবশেষে সত্যি হল। চলতি মাসের শুরুর দিকে সবরমতি জেল থেকে প্রয়াগরাজ যাওয়ার সময়, আতিক আহমেদ সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে যতক্ষণ কনভয় রয়েছে ততক্ষণ তিনি ‘নিরাপদ’। গ্যাংস্টার আতিক বিশ্বাস করেছিলেন, তাঁর পরিণতি ভাল হবে না। শেষের সেদিন রক্তাক্ত হবে, এ কথা আতিক মনে করতেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই জানি, অপরাধী হিসাবে আমাদের পরিণতি কী হবে।’
আতিক আহমেদ ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে একবার তাঁকে বলা হয়, একদা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু ওই কেন্দ্রে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তার উত্তরে আতিক বলেছিলেন, ‘পণ্ডিত নেহরুর মতো আমিও নৈনি জেলে গিয়েছি। তিনি সেখানে বই লিখেছিলেন; আর আমি আমার ইতিহাসের কারণে গিয়েছিলাম।’ মৃত্যু সম্পর্কে আগাম পূর্বাভাস তিনি আগেই পেয়েছিলেন, বার বার সাংবাদিকদের সে কথা জানিয়েছিলেন আতিক।
উল্লেখ্য আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদকে সম্প্রতি এনকাউন্টারে খুন করেছে যোগীর পুলিশ। সেই ঘটনার পর যোগী আদিত্যনাথের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে উত্তরপ্রদেশের মুকঝ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়। ‘এই অপরাধী ও মাফিয়াদের কারা পুষেছে? এটা কী সত্যি নয়, উমেশ পালের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় যার নাম জড়িয়েছে (পড়ুন আতিক আমেদ) তাকে সপা সাংসদ বানিয়েছিল? আপনারা অপরাধীদের প্রশ্রয় দেবেন আর বসে তামাশা দেখবেন তা হবে না। এই মাফিয়াকে আমরা মাটিতে মিশিয়ে দেব।’