নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সময় যত গড়াচ্ছে ততই রাজধানীতে ভয়াবহ হয়ে উঠছে বায়ুদূষণ। একাধিক জায়গায় বাতাসের গুণগত মান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। একাধিক স্থানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স সাড়ে চারশোর গণ্ডি পার করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের ৫০ শতাংশকে বাড়ি থেকে কাজের (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশন রাজধানী দিল্লি-সহ এনসিআর এলাকায় গ্রেপ-র নিয়ম চালু করেছে। ফলে একাধিক বিধি নিষেধ কার্যকর করা হয়েছে।
রাজধানী-সহ এনসিআর এলাকায় আপাতত নির্মাণকার্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজেল চালিত লরি ও চার চাকার গাড়ির প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জরুরি পণ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িত নয়, এমন কোনও পণ্যবাহী গাড়ি আপাতত রাজধানীতে ঢুকতে পারবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালেই দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আতিশি জানিয়েছিলেন, দূষণের কারণে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয় যে সব স্কুলে, সেখানে অনলাইন ক্লাস চালুরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছরই শীতের মরসুমের শুরুতে রাজধানীর বায়ুদূষণ সহনশীলতার বাইরে চলে যায়। কিন্তু চলতি বছরে পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী কোন্ও অঞ্চলের বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ বা তার বেশি হলেই সেই অঞ্চলের বাতাসকে জনসাধারণের জন্য ক্ষতিকর বলে ধরে নেওয়া হয়। আর দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা এখন ৪০০ ছাড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। আনন্দ বিহার, বাওয়ানা, দ্বারকা সেক্টর, বুবারি ক্রসিং, মুন্ডকা, নজফগড়, সাদিপুর, ওয়াজিরপুর, রোহিনী, আর কে পুরমে একিউআই ৪০০ থেকে ৪৫০-এর সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। খড় পোড়ানো এবং প্রতিকুল আবহাওয়ার সাঁড়াশি চাপে পরিস্থিতি ভয়াবহ উঠছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সতর্ক বার্তা জারি করে বলেছেন, ‘আগামী দু’সপ্তাহে বায়ুদূষণ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।’