নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টানা ৩০ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনও চলছে উত্তরকাশীতে নির্মীয়মাণ একটি সুড়ঙ্গের উদ্ধার কাজ। এখনও পর্যন্ত সেখানে আটকে রয়েছে ৪০ জোন শ্রমিক। আটকে পড়া শ্রমিকরা সকলেই সুরক্ষিত আছেন বলে জানিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সুড়ঙ্গের ভিতর পাইপ দিয়ে অক্সিজেন এবং পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
সোমবার উত্তরকাশীর সার্কেল অফিসার প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘পাইপে করে সুড়ঙ্গের মধ্যে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁদের বের করে আনা খুব কঠিন হবে না। আমরা তাঁদের সাহস না হারাতে বলেছি।‘ দিওয়ালির দিনে ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কইয়ারা ও দন্দলগাঁওয়ের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকাই ভেঙ্গে পড়ে। এই ঘটনার জেরে আটকে পড়ে ৪০জন কর্মী।
এখনও পর্যন্ত চলছে উদ্ধারকার্য । প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে , ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গের মুখ থেকে ২০ মিটারের একটি স্ল্যাব সরানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ৩৫ মিটারের বিরাট একটা চাঁই সরাতে হবে। উল্লেখ্য, হৃষিকেশ-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কে সারা বছর চলাচল করার উপযোগী রাস্তা নির্মাণের অঙ্গ হিসেবে সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি তৈরি হচ্ছিল। সেই টানেলটি দীপাবলির সকালে আচমকাই ভেঙ্গে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন, আইটিবিপি জওয়ানরা। আশা করা হচ্ছে দ্রুত শেষ হবে উদ্ধারকার্য। এই পুরো ঘটনা নিয়ে উত্তরাখণ্ডের প্রশাসন তদন্তে নেমেছে।