নিজস্ব প্রতিনিধি, গান্ধিনগর: নিজের শিষ্যাকে ধর্ষণের অপরাধে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল গান্ধিনগর আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে গান্ধিনগর আদালতের বিচারক ডি কে সোনি এক দশক আগের ধর্ষণ মামলার রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আসামী আসারাম বাপু যে জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছেন তার কোনও ক্ষমা হয় না। যে শাস্তিই দেওয়াই হোক না কেন, তা অপরাধের তুলনায় ভীষণ কম।’ উল্লেখ্য, রাজস্থানের এক ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অপরাধে অন্য এক মামলায় রাজস্থানের যোধপুর আদালত আগেই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল। অর্থাৎ দুই ধর্ষণ মামলাতেই ৮২ বছরের ধর্মগুরুর আজীবন কারাবাসের সাজা হলো।
২০১৩ সালে মোতেরায় নিজের আশ্রমে এক শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়ে গতকাল সোমবারই ৮২ বছর বয়সী ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন গান্ধিনগর আদালতের দায়রা বিচারক ডি কে সোনি। তবে মামলায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে স্বঘোষিত ধর্মগুরুর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও চার শিষ্যাকে। এদিন দোষী সাব্যস্ত আসারামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী। গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ ধর্মগুরুকে তিনি স্বভাবজাত অপরাধী হিসেবেও আখ্যা দেন। উল্টোদিকে বয়সের কথা বিবেচনা করে আসারামকে ন্যূনতম শাস্তি দেওয়ার আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক ডি কে সোনি।
যদিও গান্ধিনগর আদালতের রায়ে খুশি নন আসারামের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন। অতীতেও একাধিকবার সাজা এড়ানোর জন্য হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে দৌড়াদৌড়ি করেছিলেন সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরু। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত আসারাম কোনও স্বস্তি পাননি।