এই মুহূর্তে




কলকাতার বুকে একমাত্র বেলেঘাটা সরকার বাড়ির পুজোতেই দেখা যায় মায়ের পটল চেরা চোখ

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: পায়ে পায়ে ১৩২। হ্যাঁ এই বছর মধ্য কলকাতার(Kolkata) বেলেঘাটা(Beleghata) সরকার বাড়ির পুজো(Sarkar Family Durga Puja) ১৩২ বছরে পা রাখতে চলেছে। কলকাতার মধ্যে এই পুজো বিখ্যাত মায়ের পটল চেরা চোখের জন্য। কেননা এই শহরের বুকে একমাত্র সরকার বাড়ির পুজোতেই মা দুর্গার পাশাপাশি তাঁর সন্তানদের মুখাবয়বে দেখা যায় পটল চেরা চোখ যা, অন্যত্র কোথাও দেখা যায় না। তাই এই বড়ির প্রতিমা শহর কলকাতার বুকে এক অনন্য বৈশিষ্টধারী হয়ে রয়ে গিয়েছে। সরকার বাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা ঘটান বেলেঘাটার জমিদার গগনেন্দ্র সরকার। সেটা ১৮৯২ সাল। ঘটনাচক্রে সেই বছরেই গগনেন্দ্রের পুত্র সন্তান হয়। পরবর্তীকালে সেই পুত্র সন্তানই হয়ে ওঠেন কলকাতা তথা বাংলার নামকরা ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত গণপতি সরকার(Pandit Ganapati Sarkar)। গণপতি ছিলেন ‘বিদ্যারত্ন’ উপাধিপ্রাপ্ত পণ্ডিত ও শিল্পী। তাঁর লেখা বই ‘কালিকা পূরাণ ও দূর্গাপূজা পদ্ধতি’ মেনেই সরকারবাড়িতে আজও দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। মেনে চলা হয় বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা(Bishudho Sidhanta Panjika)। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে।

জানা যায়, ১৮৯২ সালে বেলেঘাটা সরকার বাড়িতে ঠাকুরদালানে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন গগনেন্দ্র সরকার। সেই থেকেই ওই বাড়ির ঠাকুরদালানেই দেবীর পুজো হয়ে আসছে। বংশপরম্পরায় পুজো হলেও এই পুজো এখন একাধিক শরিক মিলে সম্পন্ন করেন। এক এক বছর এক এক শরিকের পালা থাকে। জন্মাষ্টমীর দিন ৫টি গড়ান কাঠে কাঠামো পুজো দিয়ে সরকার বাড়ির দুর্গোত্সবের সূচনা হয় প্রতি বছর। ঠাকুরদালানের পাশে একটি বড় বেলগাছ আছে। সেখানেই ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় হয় দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। সপ্তমীতে নবপত্রিকার স্নানের পরে তার পাশে স্থাপন করা হয় গৃহলক্ষীকে। দশমী পর্যন্ত সেখানেই থাকেন গৃহলক্ষ্মী। তাই সপ্তমী থেকে নবমী এই পরিবারে কোনও আমিষ রান্না হয় না। দশমীর পুজো শেষে গৃহলক্ষ্মী ঘরের অন্দরে চলে গেলে তবেই মাছ রান্না হয় এই বাড়িতে। সেই মাছ ভাত খেয়েই বিকালে দেবীকে বরণ করেন বাড়ির মেয়ে-বউরা। যেহেতু এই বাড়িতে বৈষ্ণব মতে পুজো হয় তাই এখানে বাড়িতে বলিপ্রথা নেই। এক সময় এখানে কুমারী পুজো ও সধবা পুজো হতো। তবে তা বন্ধ হয়ে গেছে বহু বছর।

সরকার বাড়িতে মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয় না। পরিবর্তে দেওয়া হয় লুচি ও পরমান্ন। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে যথাক্রমে ১৮, ২৮ ও ২৯টি বিশেষ নৈবেদ্য নিবেদন করা হয় দেবীকে। সেই নৈবেদ্যের মধ্যে থাকে চালের চূড়া, মুগ ডাল, পাঁচকড়াই, মেওয়া, মাখন, মিছরি, ছানা, আটা, চিনির নাড়ু, ক্ষীরের মিষ্টি এবং নানারকমের ফল। পুজোর ৪ দিনই সকালে মাকে ভোগের সময় দেওয়া হয় লুচি। সঙ্গে থাকে তিন রকমের ভাজা— আলু, পটল ও বেগুন। রাতে থাকে পরমান্ন। সময়সূচি মেনে দশমীর দিনই বিকালে দেবীমূর্তির বিসর্জন হয় গঙ্গায়। রীতি অনুযায়ী এখনও কাঁধে করে বিসর্জনে নিয়ে যাওয়া হয় মাকে। আগে পরিবারের লোকেরাই এ দায়িত্ব নিতেন। এখন তা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই লোক ঠিক করা আছে এই কাজের জন্য। তবে এই বাড়ির আরেকটি বৈশিষ্ট হল এখানে দেবীর ভাসানের পরে দুর্গানাম লেখা হয় না। বরঞ্চ তা লেখা হয় ভাসানের আগে। দশমীর পুজো সম্পন্ন হয়ে গেলে সরকার বাড়ির সদস্যরা বেলপাতায় দুর্গানাম লিখে দর্পণে দেবীর প্রতিবিম্ব দেখেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

পুজো মানেই ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক আর শাড়ি: মধুমিতা সরকার

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

পুজোর আগেই জেনে নিন দশমীর দিন কেন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ?

পুজোয় ঠাকুরবাড়ির স্বাদে চিড়ের খিচুড়ি! জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

মন ভাল নেই, জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না বাড়ির পুজো, হঠাৎ কী হল সুদীপার?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর