নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের তথ্যপ্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরু। কর্নাটকের এই শহরে কর্মসূত্রে এবং ব্য়বসাসূত্রে বহু বাঙালির বাস। আর যেখানে বাঙালির বসবাস সেখানে দুর্গাপুজো হবে না সেটা হয় না। এই ঝাঁ চকচকে বেঙ্গালুরুতেও নয় নয় করে ৪৯টি দুর্গাপুজো হয়। প্রতিটি পুজো কমিটি বাঙালিয়ানাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে পুজোর কটা দিন। বেশ ধুমধাম করেই হয় এই শহরের দুর্গাপুজো।
যার নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গীয় সমাজ বেঙ্গালুরু। এই বাঙালি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সোম জানিয়েছেন, পুজোর জন্য আলাদা আলাদাভাবে যাতে সরকারের থেকে অনুমতি নিতে না হয়, সেজন্য সিঙ্গল উইন্ডো পারমিশন জোগাড়ে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। চলতি বছর করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী, তাই পুজোর জৌলুস কমলেও আনন্দ মাটি করতে চাইছেন না বেঙ্গালুরুর বাঙালিরা।
বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন প্রতি বছরই ধুমধামের সঙ্গে দুর্গাপুজো করে। কিন্তু এবার তাঁরা এক অভিনব ভাবনা নিয়ে হাজির হল। মূলত করোনা সংক্রমণ এবং তার ঝক্কি সামলাতেই তাঁরা নিল এক ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। এক কথায় ডেস্টিনেশন পুজো। কেমন এই উদ্যোগ? অন্যান্য বছর বেঙ্গালুরুতেই পুজোর আয়োজন করে এই কমিটি। তাঁদের পুজোয় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাঁরা এবার পুজোই সরিয়ে নিল অন্য এলাকায়।
এর ফলে পুজোর আনন্দও থাকবে আবার পুজোর কটা দিন একটু ঘোরাও হবে। এই পুজোর আয়োজকরা এবং আশেপাশের মানুষজন একত্রিত হয়ে কর্নাটকের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কুর্গের কয়েকটি রিসর্ট ও হোটেল বুক করে ফেলেছেন। সেখানেই তাঁরা পরিবার নিয়ে পুজোর কয়েকটা দিন কাটাবেন। আর হোটেলের একটি ঘরে হবে পুজোর আয়োজন। এই অভিনব উদ্যোগকেই তাঁরা বলছেন ‘ডেস্টিনেশন পুজো’। একদিকে যেমন পুজোর ভিড় এড়ানো যেমন যাবে, তেমনই ঘোরার আনন্দের পাশাপাশি পুজোর আনন্দেও মেতে উঠতে পারবেন সকলে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই ধরণের উদ্যোগ ভারতে প্রথম।