এই মুহূর্তে




‘মহিষাসুরমর্দিনী’র স্রষ্টা বাণীকুমারের জন্মভিটে পোড়াবাড়ি হয়ে দাঁড়িয়ে




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে দেবীপক্ষের সূচনার এই দিন যেন বাঙালির মননে নস্টালজিয়া বহন করে প্রতিবছরই। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠে দেবীর চণ্ডীপাঠ ও মহিষাসুর বধের কাহিনী বাঙালির হৃদয় স্পর্শ করে আজও। কিন্তু যে মহিষাসুরমর্দিনী আলেখ্যের জনপ্রিয়তা আজ শিখর ছুঁয়েছে সেই জনপ্রিয় অমূল্য চিত্রনাট্যের স্রষ্টার কথা অনেকেই জানেন না। তিনি বাণীকুমার। তাঁর ক্ষুরধার লেখনিই অমরত্ব দিয়েছে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-কে। অথচ সেই গুণী মানুষটির বসত ভিটেই আজ সংস্কারের অভাব আর অবহেলায় পোড়োবাড়ির চেহারা নিয়েছে।

সালটা ১৯২৮। তখন মহালয়ায় প্রথম শুরু হয়েছে মহিষাসুরমর্দিনী স্মৃতি রোমন্থন।  বাঙালি বাড়ির রেডিওতে মহালয়ার শুভ লগ্নে বেজে উঠতো মায়ের আগমনী সুর সঙ্গে মহিষাসুরমর্দিনী। যা ভিড় করে শুনতেন পাড়া গাঁয়ের পরিচিতরা। শহরেও ছড়িয়ে পড়েছিল তার পরিধি। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে এবং বাণীকুমারের লেখায় যেন প্রাণ পেয়েছিল মহিষাসুরমর্দিনী। এরপর থেকেই প্রতি বছর মহালয়ার ভোরে রেডিও জুড়ে শুধুই বীরেন্দ্র-বানী জুটির সৃষ্টি। একটা সময়ে নিজের লেখার জন্য বহু খ্যাতি অর্জন করেছিলেন বাণী কুমার। কিন্তু কালের নিয়মে তা সবই গিয়েছে হারিয়ে।

দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝে মহালয়া ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে বীরেন্দ্র বাবুর নাম শোনা গেলেও, আলোচনায় নেই মহিষাসুরমর্দিনী আলেখ্যর আসল স্রষ্টা বাণীকুমারের নাম। এখানেই শেষ নয়, প্রবল অবহেলা এবং অযত্নে লেখকের জন্মস্থান আজ জঙ্গলাকীর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে সঠিক পরিচর্যার অভাবে বাণীকুমারের কানপুরের ভিটে আজ বিষাক্ত পোকামাকড় এবং সাপের আঁতুড়ঘর। সব মিলিয়ে, যেখান থেকে বেড়ে ওঠা বহু জনপ্রিয় মহিষাসুরমর্দিনী আলেখ্যের সৃষ্টিকর্তা বাণীর সেই বসতভিটে কেমন রয়েছে?

অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতে ১৯০৭ সালের ২৩ নভেম্বর আমতার কানপুরে মামার বাড়িতে জন্ম বাণীকুমারের।  আসল নাম বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য। বাবা বিধুভূষণ ভট্টাচার্য ছিলেন সেকালের বেশ নামকরা পণ্ডিত। বিধুভূষণ এবং তাঁর স্ত্রী অপর্ণাদেবীর দুই ছেলে দুই মেয়ে। মামার বাড়ি হাওড়ার কানপুর গ্রামে জন্ম বাণীকুমারের পড়াশোনাও হাওড়া জেলাতেই। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন মেধাবী ছাত্র বৈদ্যনাথ। পড়ুয়া জীবন শেষ করে চাকরি করেছিলেন টাঁকশালে। তবে বেশ কিছুদিন কাজ করার পর স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে পথ চলা শুরু হয় অল ইন্ডিয়া রেডিওতে। এরপরই জন্ম নেয় মহিষাসুরমর্দিনীর মতো জনপ্রিয় গীতি আলেখ্য। যা আজও মহালয়ার ভোরে উস্কে দেয় হাজারো স্মৃতি। বলে রাখা ভাল, জন্ম কানপুরে হলেও বানী কুমারের পৈতৃক বাড়ি কিন্তু হুগলির আঁটপুর এলাকায়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দশমীতে ইছামতীর তীরে জমজমাট এক দিনের বউ মেলা, তবে নিষিদ্ধ পুরুষ ক্রেতা

ফরিদপুরে একই মণ্ডপে ২৫১ দুর্গা প্রতিমা দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়

পুজো শেষে দুপুরে জমিয়ে খান ওল-চিংড়ি: সহজ রেসিপিতে রসনা তৃপ্তি করুন ঘরেই

মুম্বইতে দুর্গার বিদায় পর্বে জমিয়ে সিঁদুর খেললেন রানি-কাজলরা

৩০০ বছর ধরে সিংহবাহিনী দেবী রূপে পুজিতা হয়ে আসছেন এই রাজবাড়িতে

পান্তা ভাত-কচু শাক খেয়ে কৈলাসে পাড়ি দেন এই বনেদি বাড়ির উমা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর