নিজস্ব প্রতিনিধি: আর বেশিদিন বাকি নেই। আগমনীর সুরে উমার পদধ্বনি পাওয়ার আনন্দে গোটা বঙ্গবাসী মজে। আর মাত্র কিছুদিন পরেই মা আসছেন, তাঁর চার সন্তানদের নিয়ে। মা আসার খুশিতেই যেন অনেক যন্ত্রণা ভুলে গিয়েছে প্রত্যেকে। গতবছর পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল পুরনো রাজবাড়ির শতাব্দী প্রাচীন সিংহদুয়ার ভেঙে পড়ায় ভাড়াক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন গোটা পূর্ব মেদিনীপুর বাসী। কিন্তু রাজবাড়ির সেই ক্ষতকে মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিয়েছিল সেই ভাঙা সিংহদুয়ারের পাশেই নতুন করে পূজিত হওয়া দুর্গাপুজো। সেই সময়ে ধ্বংসস্তূপের পাশে উমার আগমন যেন নতুন করে তৈরি করেছিল আনন্দের আবহ। ভাঙা প্রাসাদেই উমার প্রবেশ হয়েছিল।
এবার সেই পুজোই ২৪৩ বছরে পড়ল। এই পুজোর নিয়ম-কানুন ভিন্ন ভিন্ন। পারিবারিক রীতি মেনেই রাজপরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মহালায়রা পরের দিন থেকেই দেবীর ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৭৮০ সালে এই পুজোর সূচনা করেন রানি জানকী। আগে এই ঘটে জল ভর্তি করার জন্যে হরিদ্বার-বেনারস থেকে জল আনা হত। এখন গোপালজি বাবার পুকুরের পেছন থেকে জল তোলা হয়। এমনকি এই পুজোর জন্যে আগে নীলপদ্ম আসত বাইরে থেকে। কিন্তু এখন আর তা আনা সম্ভব হয় না বলে লোকাল পদ্ম দিয়েই পুজো হয়।
গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির মধ্যে রঙ্গিবসান রাজবাড়ির সিংহদুয়ারের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এখন এই বাড়ির সিংহদুয়ারের সেই ধ্বংসস্তূপের পাশে মণ্ডপ আলো করে রয়েছেন রাজপরিবারের কুলদেবী। তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও রাজবাড়ির পুজোয় নতুন করে প্রাণ ফেরায় উমা।