এই মুহূর্তে




Durga Puja: মহিষাসুরের তপস্যায় তুষ্ট দেবী তাঁকে কি এমন বর দিয়েছিলেন?




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায়:শরণাগতদীনির্তপরিত্রাণপরায়ণে ।

                               সর্বস্যার্তিহরে দেবি নারায়ণি নমোঽস্তু তে ।।”

দেবী দুর্গাই হলেন আদ্যশক্তি আর, দুর্গা শব্দের অর্থ যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন। তিনি হলেন দেবী পার্বতীর এক রূপ। পুরাকাল থেকেই দেখা গিয়েছে, ভগবান স্বয়ং তাঁর ভক্তদের উদ্ধার করেছেন, আবার মুক্তিও দিয়েছেন। শিবপুরাণে বর্ণিত কাহিনী অনুসারে মৃত্যুর দেবতা যমকে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব। হরিভক্ত প্রহ্লাদের পৌত্র তথা দৈত্যরাজ বলিও ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক, তাই বিষ্ণুই বলিকে বামনবেশে মুক্তি দিয়েছিলেন। আবার, এমনই উল্লেখ পাওয়া যায় বাল্মীকি রামায়ণেও।

কথিত আছে, সত্যযুগে একদ প্রজাপতি ব্রহ্মার পুত্র সনৎকুমারকে রাবণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দেবতাদের মধ্যে সবথেকে বলবান কে। সেই প্রশ্নের জবাবে সনৎকুমার বলেছিলেন, “তিনি সর্বজগতের কর্তা শ্রী নারায়ণ। তাঁর উৎপত্তি আমরা কেউ জানি না।” রাবণ তখন ফের জিজ্ঞেস করেছিলেন, “হরির হাতে যাঁরা মৃত্যুবরণ করেন, তাঁদের কী গতি হয়?” সনৎকুমার বলেন, “হরির হাতে যাঁদের মৃত্যু, তাঁরা হরির আশ্রয়ে-ই স্থান পান। হরির ক্রোধও বরের তুল্য।” তখন রাবণ বলেন, “বেশ। আমি যখন অমর নই। তাহলে তাঁর হাতেই আমি বিনাশপ্রাপ্ত হব।” তাই ত্রেতাযুগে বিষ্ণুর সপ্তম অবতার শ্রী রামচন্দ্রের হাতে মৃত্যুবরণ করেন শ্রী রাবণ।

তাহলে, এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, যে, মহিষাসুরকে যখন দেবী দুর্গা বধ করেছিলেন, তবে কি মহিষাসুর দুর্গাভক্ত ছিলেন ?

হ্যাঁ, কালিকা পুরাণে বর্ণিত তথ্যানুযায়ী মহিষাসুর স্বয়ং  ছিলেন মা দুর্গার ভক্ত । পৌরাণিক কাহিনী মতে মহিষাসুর তিনবার জন্মগ্রহণ করেছিলেন আর এই তিনবারই ত্রিবিধ রূপে তাঁকে বিনাশ করেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুরকে বধ করার জন্য প্রথমে অষ্টাদশভুজা উগ্রচণ্ডা রূপে, দ্বিতীয়বার ভদ্রকালী এবং তৃতীয়বার পরমা প্রকৃতি দশভুজা দুর্গা রূপ ধারণ করেছিলেন। কথিত আছে দ্বিতীয়বার যুদ্ধের পর স্বপ্নে দেবীর ভদ্রকালী মূর্তি দেখেছিলেন মহিষাসুর। মাতৃভক্ত মহিষাসুর তখন দেবীর আরাধনা শুরু করলেন। আরাধনায় প্রীত ও প্রসন্ন দেবী তাঁকে বর প্রার্থনা করতে বললে মহিষাসুর জানিয়েছিলেন, ‘আপনার হাতে মৃত্যুর জন্য আমার কোনও দুঃখ বা ক্ষোভ নেই, কিন্তু আমি নিজের জন্য যজ্ঞের ভাগ চাই, যাতে আপনার সঙ্গে আমিও সকলের পূজিত হই।’

দেবী ভদ্রকালী তখন আশীর্বাদ করে বললেন, ‘তুমি আলাদা কোন যজ্ঞের ভাগ পাবে না, তবে উগ্রচণ্ডা, ভদ্রকালী আর দুর্গা, এই তিন মূর্তিতে আমার পদলগ্ন হয়ে তুমি সব সময়েই আমার সাথেই পূজিত হবে।’ জানা যায়, দেবীর পাদলগ্ন হয়ে মহিষাসুরের পুজো পাওয়ার বিবরণ এই ‘কালিকাপুরাণ’ ছাড়া আর কোথাও নেই।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

পুজো মানেই ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক আর শাড়ি: মধুমিতা সরকার

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

পুজোর আগেই জেনে নিন দশমীর দিন কেন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ?

পুজোয় ঠাকুরবাড়ির স্বাদে চিড়ের খিচুড়ি! জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

মন ভাল নেই, জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না বাড়ির পুজো, হঠাৎ কী হল সুদীপার?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর