এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দার্জিলিংয়ে জয়জয়কার অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার যে সব বাসিন্দারা দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়েছেন তাঁদের অনেকেরই খুব প্রিয় জায়গা গ্লেনারিস রেস্তরাঁটি। অনেকেই সেখানে ভিড় জমান। সেই রেস্তরাঁর মালিকই যে পাহাড়ের বুকে নতুন এক ভোর আনবেন সেটা কে জানত! কিন্তু বাস্তব এটাই গ্লেনারিস রেস্তরাঁর মালিক অজয় এডওয়ার্ডের(Ajay Edward) হাত ধরেই দার্জিলিং(Darjeeling) পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টিতে জয় পেয়ে বাংলার রাজনীতিতে একটা বড়সড় চমক দিয়ে দিল হামরো পার্টি। শুধু জয় পেল তাই নয়, পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণও তৈরি করে দিল। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠে গেল বিমল গুরুং(Bimal Gurung), বিনয় তামাং(Binay Tamang) ও অনীত থাপার(Anit Thapa) রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে। প্রশ্ন উঠে গেল বিজেপির(BJP) অস্তিত্ব নিয়েও। তবে মন্দের ভালো সেখানে খাতা খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। ২টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। বাকি সকলের ঝুলি খালি।

রাজ্যের যে ১০৮টি পুরসভায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল সেখানে দার্জিলিং পুরসভাও ছিল। অনেকেরই নজর ছিল এই শৈল শহরের দিকে। সকলে এটাই দেখতে চাইছিলেন যে পাহাড়ের রানী এবার কার দখলে যায়, বিজেপির না গুরুংয়ের। নাকি সেখানে ভেল্কি দেখাবে অনীত থাপার দল! কিন্তু কারোর হিসাবেই ছিল না হামরো পার্টি কী করতে পারে তার ধারনা। মাত্র ৫ মাস আগে মিরিকে অজয় এডওয়ার্ডের হাত ধরে জন্ম হয় হামরো পার্টির। তারপর কার্যত নিঃশব্দে পাহাড়ের বুকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেদের তুলে ধরেছেন দলের কর্মীরা। সেই দলের কর্মীদের একটা বড় অংশই আবার জিএনএলএফের প্রাক্তন কর্মী। কেননা অজয় নিজেই একসময় জিএনএলএফের দার্জিলিং শাখার সভাপতিও ছিলেন। কিন্তু জিএনএলএফ প্রধান মন ঘিসিংয়ের সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় অজয় দল ছেড়ে দেন। তারপরেই জন্ম হামরো পার্টির। আর সেই দলের ৫ মাসের মধ্যেই দার্জিলিং পুরসভায় এভারেস্টসম জয়। যদিও নির্বাচনে অজয় নিজে হেরেছেন।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কী এমন রয়েছে এই হামরো পার্টিতে যা দেখে পাহাড়বাসী দুই হাত ঢেলে ভোট দিল? আসলে এই জয়ের পিছনে লুকিয়ে আছে পাহাড়ের চিরাচরিত বন্‌ধের রাজনীতি। পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে একসময় জিএনএলএফ সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিং পাহাড়ে বন্‌ধ ডাকতেন। সেই বন্‌ধ চলত দিনের পর দিন ধরে। সুবাস জমানার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসা বিমল গুরুংও একই পথে হাঁটা দিয়েছিলেন। হিংস্র রক্তক্ষয়ী আন্দোলন আর তার সঙ্গে মাসের পর মাস ধরে চলা বন্‌ধ। এই দুইজনের কেউই ভাবেননি পাহাড়ের মানুষ এই বন্‌ধের মধ্যে কীভাবে বেঁচে থাকবেন। সেই বন্‌ধ রাজনীতি পাহাড়ের অর্থনীতিতে বড়সড় আঘাত দিয়েছিল। পাহাড়ের অর্থনীতিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চা আর পর্যটন শিল্প। কার্যত দার্জিলিং শহরের অর্থনীতি দাঁড়িয়েই আছে পর্যটনের ওপর। কিন্তু পাহাড়ের হিংস্র আন্দোলন আর বন্‌ধ পর্যটকদের বাধ্য করেছে বার বার দার্জিলিং থেকে মুখ ফেরাতে। ফলে পর্যটকদের অভাবে সেখানকার হোটেল থেকে রেস্তরাঁ, কফি শপ থেকে মোমো কর্ণার মায় হোটেলের ব্যবসাও শূন্যে এসে ঠেকেছিল। কাজ হারিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। কোভিডকালে লকডাউন কার্যত সেই অবস্থায় ছিল গোদের ওপর বিষফোঁড়া। দার্জিলিংয়ের জনতা তাই আর অর্থনীতিকে ধাক্কা দিতে চাননি। অজয় এডওয়ার্ড যেহেতু নিজে হোটেল ব্যবসায়ী তাই পাহাড়বাসীর ধারনা অজয় অন্তত ভুয়ো গোর্খাল্যাণ্ডের স্বপ্ন ফেরি করে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে বন্‌ধ ডাকবেন না। বাস্তনে অজয়ের দল একবারের জন্যও গোর্খাল্যান্ড নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি, বরঞ্চ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছে। উন্নয়নের কথা বলেছে। আর তাতেই ভরসা রেখেছে পাহাড়ের জনতা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর