নিজস্ব প্রতিনিধি: গতবছরে আচমকাই পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে মৃত্যুর পরপারে যাত্রা করেন টলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে রীতিমতো কেঁপে ওঠে গোটা বাংলা। হঠাৎই তাঁর মৃত্যুর খবরে জেরবার হয়ে ওঠে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। দেখতে দেখতে এক বছর হতে চলল, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে আজও শোকস্তব্ধ টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। সেই সময় স্টার জলসার ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকটি চলছিল। যেখানে গুনগুনের বাবা হয়েছিলেন অভিনেতা। তবে নায়কের কিছুদিন পরেই সিরিয়ালটি হয়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অভিষেক।
টলিউডে তাঁর জায়গাটা হয়তো কখনই পূরণ হবেনা। যাই হোক, অভিষেকের মৃত্যুবার্ষিকীর ১০ দিন আগেই বাবার বাৎসরিক কাজ করলেন নায়কের মেয়ে ডল ওরফে সাইনা। মাত্র ৫৮ বছরেই না ফেরার দেশে চলে যান নব্বইয়ের দশকের টলিউড কাঁপানো নায়ক। নায়কের মৃত্যুতে এখনও কেঁদে ভাসাচ্ছেন প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী। চোখের কোণে জল নিয়ে বারবার জানিয়েছেন অভিষেক তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। সশরীরে নেই, কিন্তু অভিষেকের উপস্থিতি তিনি বুঝতে পারেন। অভিষেকের মৃত্যুর পর তাঁর ফেসবুক থেকে নিয়মিত পোস্ট করেন সংযুক্তা। প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের এক বহুতলে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সংসার। সেই বাড়ি এদিন রজনীগন্ধায় মোড়া। স্বামীর বাৎসিক কাজের একাধিক মুহূর্তের ছবি সোশ্যালে ভাগ করে সংযুক্তা লেখেন, ‘ওঁর দিন, ওঁর মতো করে…. সাঁইবাবা আমাদের পথ দেখানোর জন্য ধন্যবাদ’।
অভিষেকের মতো করে কীভাবে এই দিনটা পালন করেন সংযুক্তা আর সাইনা? অভিষেকের স্ত্রী জানান, ‘অভির কথামতোই ঘরটা সাজিয়েছি। আমি আর অভি দুজনেই সাঁইবাবার ভক্ত। সেইমতো ৯ আর ১১ নম্বরটা লাকি মনে করি। এদিন ৯টা বাচ্চাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। স্বপ্নে মেনুটাও অভিই বলে দিয়েছে।’ কী ছিল মেনুতে? লুচি, আলুরদম, ভাত-ডাল, ঝুরো আলুভাজা, দই মাছ, মটন কষা। বাবার বাৎসরিক কাজের সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে তাঁর ১২ বছরের কন্যা, তবে তাঁকে সামলে নেন সংযুক্তা। মেয়েকে অভিনেত্রী বানাতে চান সংযুক্তা, কিন্তু টলিউডের নয়, একথা অভিষেকও বলে গিয়েছিলেন।