নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আওয়ামী লীগ সুপ্রিমোর সঙ্গে যাত্রা করলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার ফেরদৌস। রীতিমতো ইতিহাস সাক্ষী করলেন অভিনেতা। আজ দুপুর বাংলাদেশের স্থানীয় সময় ১২.৪৫ নাগাদ ট্রেনে করে পদ্মা পার হন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সূত্রেই ট্রেনে চেপে পদ্মা পাড়ি দেন তিনি। উদ্বোধনের দিন দুপুর ২টার দিকে ট্রেনে চেপে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাঙ্গা রেলস্টেশনে পৌঁছলেন বাংলা সিনেমার নায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
এদিন সকাল ১০.১০ মিনিটে সড়কপথে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০.৫৮ মিনিট নাগাদ মাওয়া পৌঁছন। মাওয়া রেল স্টেশন প্রাঙ্গনে বক্তব্য রাখেন তিনি। দুপুর ২.০০ নাগাদ ট্রেনে করে ভাঙ্গা রেলস্টেশনে পৌঁছন। ঢাকার গেণ্ডারিয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার চালু হল মঙ্গলবার। এদিন রীতিমতো টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফেরদৌস। পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল বহুদিন ধরেই স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বাসীদের।
অবশেষে তাঁদের সেই স্বপ্ন সফল হল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে। মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ফেরদৌস ক্যাপশনে লেখেন, ‘আজ ইতিহাসের পাতায় নাম লিখলাম। আলহামদলিল্লাহ। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’ এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা।পদ্মা সেতুতে রেল চলাচলের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ঢাকার কাছাকাছি এল। রেলপথে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব কমল ২১২ কিলোমিটার। চিনের ঋণে প্রায় ৩৯,২৪৭ কোটি টাকা ব্যয় করে এই রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন নতুন রেলপথ। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর জুনে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলবে।