নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) পাশে সেজে উঠেছে নিউটাউন(Newtown) শহর। আর সেই সাজিয়ে তোলার কাজ নিরন্তর করে চলেছে বাংলার ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বাড়ছে সেখানকার জনসংখ্যাও। ইতিমধ্যেই এই শহর দেশের মধ্যে সেরা Smart City of the Year সম্মাণেও ভূষিত হয়েছে। যদিও ঘটনা হচ্ছে, এই Smart City’র শহরের একটা বড় অংশ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চলে গিয়েছে! আর তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন এলাকার একটা বড় অংশের মানুষ। আগে এই শহরের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আসন ছিল। কিন্তু, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আসন পুনর্বিন্যাস করতে হয়। তার জেরে পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে ৮ হয়। নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেট সংলগ্ন Action Area-1 থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে পড়ে যায়। আর তার জেরেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে চলে যাওয়া এলাকার প্রায় ১৬ হাজার বাসিন্দা। তাঁরা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে Vote Boycot’র ডাক দিলেও এবারে তাঁরা কিন্তু সেই পথে হাঁটছেন না। বরঞ্চ তাঁরা চাইছেন, ভোট দিয়েই গণতান্ত্রিক উপায়ে Smart City’র মর্যাদা ফিরে পেতে।
গত বছর নিউটাউনের যে অংশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে চলে গিয়েছে সেই অংশের বাসিন্দারা ভোট বয়কটের ডাক দেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে। সেখানকার প্রায় ১৬ হাজার বাসিন্দাদের মধ্যে ১২ হাজার বাসিন্দা সেই ভোট বয়কট সমর্থনও করেন রীতিমত সাক্ষর করে আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে। তাঁদের মূল প্রশ্ন ছিল Property Tax থেকে Residential Certificate, Mutation থেকে যাবতীয় পরিষেবা তাঁরা পেয়ে থাকেন Newtown Kolkata Development Authority বা NKDA থেকে। তাহলে তাঁদের গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত করে ভোট করানোর প্রয়োজনীয়তা কী? এই প্রশ্নের বা সমস্যার সমাধান আজও হয়নি। খুব শীঘ্রই তা হবে এমনটাও মনে হয় না। কিন্তু এবারে সেখানকার বাসিন্দারা আর ভোট বয়কটের পথে হাঁটা দিতে চান না। বরঞ্চ তাঁরা চান ভোট দিয়েই গণতান্ত্রিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে। এই বিষয়ে Newtown Forum and News সংগঠনের চেয়ারম্যান সমরেশ দাস জানিয়েছেন, ‘স্মার্টসিটির মধ্যে পঞ্চায়েত এলাকা ঢুকবে কেন? তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করেছিলেন। তবে লোকসভায় আমরা সবাই ভোট দেব। ভোটের পর নতুন সাংসদ সহ প্রশাসনের সর্বস্তরে আমরা আমাদের দাবির বিষয়টি জানাব। আমরা চাই না, এখানে কোনও অশান্তি হোক। তাই আমরা চাই, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবেই স্মার্টসিটির মর্যাদা ফিরে পাক নিউটাউন।’