নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশের সঙ্গীতজগতে মঙ্গলবার রাতে নেমে এলো এক কালো ছায়া। কলকাতার বুকে নজরুল মঞ্চে জীবনের শেষ কন্সার্ট শেষ করার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কে কে। আর তাঁর মৃত্যুতে আলটপকা মন্তব্য করে বসা রূপঙ্কর বাগচীর দিকে ধেয়ে এসেছে একাধিক অভিযোগের তীর। এবার রূপঙ্করের হয়ে মুখ খুললেন ইস্মার্ট জোড়ির আর এক অংশগ্রহণকারী অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়। অত্যন্ত চালাকি করে সুদীপ বলেছেন, ”কে কে মানে কী একজনকেই বোঝায়? কিশোর কুমারও তো কে কে। তারপর ধরুন কমল কুমার, কণক কুমারী, কমলাকান্ত তাঁদের উদ্দেশ্যেও তো বলা হয়ে থাকতে পারেন। হয়তো কোথাও বোঝার ভুল হচ্ছে। আর তাই সকলকে রূপঙ্করের এই কথার অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝাতে চেয়ে তাঁরই গাওয়া গান ‘গভীরে যাও’ এর সঙ্গে তুলনা টেনেছেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়।
এই মন্তব্যের পাশাপাশি কে কে-এর অকাল্প্রয়ানে শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা। তাঁর কোনও পার্টি বা আনন্দ অনুষ্ঠান আজও কে কে-এর গান ছাড়া হয় না তাও জানিয়েছেন। সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রূপঙ্করের কেরিয়ার নিয়েও। বর্তমানে গানের পাশাপাশি অভিনয়েও মন দিয়েছেন রূপঙ্কর। জাতীয় স্তরে কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি ওড়িশা থেকে শুটিং সেরে ফিরেছেন। কিন্তু তাঁর এই বেফাঁস মন্তব্য তাঁর কেরিয়ারে কোনও ছাপ ফেলবে না তো? বি-টাউনের সেলেবরা কী এরপর রূপঙ্করকে মেনে নেবেন?
আশঙ্কার সুর সুদীপের গলায়। সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন বাংলার যেসব অভিনেতা অভিনেত্রীরা জাতীয় স্তরে কাজ করছেন তাঁদেরও না রূপঙ্কর কোনদিন বলে বসেন এরা কারা? সবশেষে রূপঙ্করের মানসিক অবস্থার স্থিতিশীলতা কামনা করেছেন অভিনেতা অন্যদিকে কে কে-কে নিয়ে করা বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিওটি নিজের ফেসবুক পেজ থেকে ডিলিত করতে বাধ্য হয়েছেন রূপঙ্কর। তাঁর এই ভিডিওতে যেভাবে একের পর এক কটাক্ষ ধেয়ে আসছিল তাতে শেষ পর্যন্ত এই ভিডিও ডিলিট করেন বাঙালি গায়ক। এমনকি তাঁর এই মন্তব্যে বিরক্ত বাংলার শিল্পীমহলও। তাঁকে ব্যান করার দাবিও করেছেন এদিন বহু শিল্পী।