নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে চারিদিকে একটাই রব ‘দ্য কেরালা স্টোরি’- প্রদর্শনী বন্ধের। ইতিমধ্যেই বাংলায় নিষিদ্ধ হয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তকে অনেকে সাধুবাদ জানালেও তাঁর বিরোধিতা করেছে বেশিরভাগ মানুষই। তিনিই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি এই ছবিটিকে নিষিদ্ধ করলেন। এর আগে বহু নেতারা ছবিটির বিরোধীতা করলেও ব্যান করার ডাক দেয়নি। রাজ্যে অশান্তি এড়াতে, সন্ত্রাস রুখতে এবং শান্তি বজায় রাখতে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে সিনেমাহলে। এদিন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। বুধবার রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার আবেদন করলেন এক আইনজীবী। অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। যেখানে রাজ্যের সিদ্ধান্ত বাতিলের আর্জি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মামলাটির শুনানি হতে পারে। এদিকে ইতিমধ্যেই দ্য কেরালা স্টোরির করমুক্ত করেছেন মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড সরকার। বিরোধীরা ছবিটির মুক্তি রুখতে প্রথমে সুপ্রিমকোর্ট কেরালা হাইকোর্ট এবং মাদ্রাসা হাইকোর্টে আবেদন রাখলে সবটাই খারিজ করে দেয় আদালত। এদিকে চলচ্চিত্র পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ এদিন দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কেরালা স্টোরি ৫ মে মুক্তি পেয়েছে। সুদীপ্ত সেন পরিচালিত, আদা শর্মা অভিনীত ফিল্মটি বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছে। ৮ মে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে দ্য কেরালা স্টোরি প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছেন। এর বিরুদ্ধে অনুরাগ কাশ্যপ চলচ্চিত্রের উপর মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করে বুধবার টুইটে লিখেছেন, ‘প্রোপাগন্ডা’ হলেও একটি ছবি নিষিদ্ধ করা ‘শুধুই ভুল’।
এর আগে, প্রবীণ অভিনেতা শাবানা আজমিও দ্য কেরালা স্টোরিতে নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছিলেন।অনুরাগ কাশ্যপ বুধবার টুইট করেছেন, “আপনি ছবিটির সঙ্গে একমত হন বা না হন, এটি প্রচার হোক, পাল্টা প্রচার হোক, আক্রমণাত্মক হোক বা না হোক, এটি নিষিদ্ধ করা ভুল।” তিনি ফরাসি লেখক এবং দার্শনিক ভলতেয়ারের একটি উদ্ধৃতি শেয়ার করে লেখেন, “আপনি যা বলবেন আমি তাঁর সঙ্গে একমত নই।” দ্য কেরালা স্টোরির গল্পে, কেরালার ৩২,০০০ মেয়ে নিখোঁজ হয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, আইএসআইএস-এ যোগদান করেছে বলে দাবি করার জন্যে সমালোচিত হচ্ছে ছবিটি। ফিল্মটির নির্মাতারা সম্প্রতি ইউটিউবে ট্রেলারটিকে ‘৩২,০০০ নারীর গল্প’ থেকে ৩ জন নারীর গল্পে পরিবর্তন করেছেন। ট্রেলারটি মূলত প্রস্তাব করেছিল যে ছবিটি ৩২,০০০ কেরল মহিলার গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যারা মৌলবাদীদের দ্বারা কথিত ছিল।