নিজস্ব প্রতিনিধি: বিনোদন মহলে একের পর এক বিপত্তি। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতে ফের শোকের ছায়া। শনিবার ২৭ এপ্রিল, নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হল জনপ্রিয় ভোজপুরি অভিনেত্রী অমৃতা পান্ডে ওরফে অন্নপূর্ণার ঝুলন্ত মৃতদেহ। তিনি থাকতেন বিহারের ভাগলপুরের জোগাশা থানা এলাকায়। সন্দেহভাজন অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে অভিনেত্রীর। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিনেত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার কিছুদিন আগে অভিনেত্রী অমৃতা পান্ডের একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে লেখা ছিল, ‘তাঁর জীবন দুটি নৌকায়, আমরা আমাদের নৌকা ডুবিয়ে তার পথ সহজ করে দিয়েছি।’
এই হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই স্ট্যাটাসের কয়েক দিনের মধ্যেই মারা গেলেন অমৃতা পান্ডে। অভিনেত্রীর পরিবারের মতে, অমৃতা তাঁর কেরিয়ার নিয়ে বেশ কিছুদিন চিন্তিত ছিলেন এবং বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। তার চিকিৎসা চলছিল। কাজ না পাওয়ায় তাঁর মন খারাপ ছিল। ২০২২ সালে, তিনি মুম্বইতে বসবাসকারী ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের বাসিন্দা চন্দ্রমণি ঝাংগদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। যিনি একজন অ্যানিমেশন ইঞ্জিনিয়ার। তবে হতাশায় থাকলেও সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত তিনি নিজের ওয়েব সিরিজ ‘প্রতিশোধ’ নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
পুলিশ এখনও তাঁর মৃত্যুর কারণ তদন্ত করছে। জানা গিয়েছে, অমৃতার বোন অভিনেত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন। ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় আদমপুর জাহাজ ঘাটে অবস্থিত দিব্যধর্ম অ্যাপার্টমেন্টে একজন মহিলার আত্মহত্যার খবর পেয়েই জোগসা থানার পুলিশ সেখানে ছুটে যায়। দরজা খুলতেই তাঁরা দেখতে পায় বিছানায় পড়ে রয়েছে অভিনেত্রী অমৃতা পাণ্ডের মৃতদেহ। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে যে, অমৃতা পান্ডের বোন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর ঘরে গিয়ে দেখতে পায় অমৃত ফাঁসিতে ঝুলছে। এরপর কোনভাবে ফাঁস কেটে অমৃতাকে নিচে নামানো হয়, এরপর তাঁরা তাঁকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ‘দিওয়ানাপান’- এ ভোজপুরি তারকা খেসারি লাল যাদবের সঙ্গে অভিনয় করেছেন অমৃতা। এছাড়াও তিনি হিন্দি সিনেমা, টিভি শো এবং ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন।