নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে সাধারণ মানুষের প্রাণকেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ আর এখন ইনস্টাগ্রাম ছাড়া মানুষ অন্ধ। সোশ্যাল মিডিয়াকে ছেড়ে এক মুহূর্ত থাকার কথা মানুষ ভাবতেই পারেন না। যার সাহায্যে গোটা বিশ্ব হাতের মুঠোয় চলে আসে মাত্র ১ মিনিটে। যাই হোক, গতকাল রাতে আচমকা বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুক। শুধু লেখা দেখায় সেশনের বৈধতা শেষ। ব্যস! গোটা বিশ্ব মুহূর্তে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মেটার অভিভাবক মার্ক জুকারবার্গ আম্বানিদের বিয়েতে এসে সব ভুলে গেলেন, সংস্থার কর্মীরা মালিকের অনুপস্থিতিতে যাঁতা করতে শুরু করেছেন, এমন মেমে মেমেতে ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফিরে আসে ফেসবুক, যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে।
সার্ভারে কোনও বড়সড় গন্ডগোলে আচমকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক। শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীরাই নয়, ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তারকাদের মধ্যেও। যে তালিকায় রয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও। তিনিও প্রথমে ভেবেছিলেন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে সবারই একই সমস্যা জানতে পেরে প্রাণে জল আসে আর কি তাঁর! তবে ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মানুষজনের ফেসবুক-আসক্তির দিকটাও নজরে পড়েছে অভিনেতার। স্ট্যাটাসের শুরুতেই তিনি লিখলেন, ‘প্রথমে যখন ফেসবুকে ঢুকতে পারছিলাম না, ভেবেছিলাম হ্যাক হয়েছে। অনেক খারাপ লাগছিল। যখন জানতে পারলাম সবারই একই অবস্থা, তখন বেশ ভালো লেগেছিল। মনে মনে ভাবছিলাম, যাক সারা পৃথিবী থেকে একটা জঞ্জাল বিদায় হলো। এরপর যখন ফেসবুক ফিরে পেলাম, তখন মনে হলো, এই এক ঘণ্টার ফেসবুক হারানোর শোক অনেকের কাছে অতি প্রিয়জন হারানোর বেদনাকেও হার মানিয়েছে, হায়রে ফেসবুক।’
আসলে বর্তমান সময়ে ফেসবুক একমাত্র মানুষের সময় কাটানোর মাধ্যম। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে অপ্রয়োজনেই মানুষ বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেন। তাই ক্ষণিক সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ, অনেকের কাছেই মনঃকষ্টের কারণ। এমনকী তারকাদের ক্ষেত্রে ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হল ফেসবুক। চঞ্চল চৌধুরী নিজেও ফেসবুকে খুবই সক্রিয়। মাঝে মধ্যেই নিজের জীবনের নানা ছোটখাটো ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। শেষে অভিনেতা লেখেন, ‘কোন নেশায় আক্রান্ত পুরো দেশ, পুরো বিশ্ব। আমিও এর বাইরে নই। এর থেকে কি আমরা কিছু শিখতে পারলাম? সবাই একটু ভাবুন। এখনো আমরা সবাই পরীক্ষা করে দেখছি, অ্যাকাউন্টটা ঠিক আছে তো? ধন্য তুমি জাকারবার্গ। ভদ্রলোক হয়তো সৎ উদ্দেশ্যেই জিনিসটা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু কথা একটাই, ফেনসিডিল ছিল কাশির সিরাপ, পরে সেটা হয়ে গেল নেশার দ্রব্য।’