নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে সংবাদের শিরোনাম দখল করে রেখেছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী সুস্মিতা সেনের (SUSHMITA SEN) ভাই রাজীব (RAJEEV) এবং ভাইয়ের স্ত্রী চারু আসোপা (CHARU ASOPA)র বিচ্ছেদ সম্পর্কিত একাধিক তথ্য। মাঝে গুজব উঠেছিল, তাঁরা খুব শীঘ্রই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। তাঁদের মেয়েকে নিয়ে একাই থাকেন চারু। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে, রাজীব এবং চারু দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং গার্হস্থ্য সহিংসতার অভিযোগ এনেছিলেন, সেই কারণেই তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এই গুজবের দিন কয়েক বাদেই চারু-রাজীবের সম্পর্কে জুড়ে যাওয়ার কথা নিজেরাই প্রকাশ্যে আনেন তাঁরা।
এমনকি মেয়ে জিয়ানার জন্মদিনেও একসঙ্গে সেলিব্রেশন করার একাধিক ছবি পোস্ট করেছিলেন জনপ্রিয় হিন্দি টেলিভিশন দম্পতি। কিন্তু এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, ফের টালমাটাল তাঁদের সম্পর্ক। ২০১৯ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন চারু-রাজীব। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁদের বিবাহিত সম্পর্কের চির। এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় যে, তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। রাজীবের বিরুদ্ধে পরকীয়া থেকে গার্হস্থ্য হিংসা-নানা অভিযোগ আনেন চারু। তবে ফের তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নীরবতা ভেঙে রাজীব এবার চারুর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ আনলেন।
তিনি জানান, হিন্দি টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা করণ মেহরার সঙ্গে চারুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেন, “চারু স্পষ্টতই আমার সমস্ত শ্রদ্ধা হারিয়েছেন। আমার পুরো পরিবার তাঁকে ভালবাসত এবং তাঁকে আমার চেয়ে বেশি সমর্থন করত, তবুও আমার বিরুদ্ধে তিনি এমন লজ্জাজনক অভিযোগ এনেছেন। আমি এর প্রাপ্য নই, এই অত্যাচার এবং অপমানের জন্য আমি তাঁকে কখনই ক্ষমা করব না”। রাজীব চারুর করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ভয়েস নোট থেকে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করা গিয়েছে, তা হল টিভি অভিনেতা করণ মেহরার সঙ্গে চারুর রোম্যান্সের কথা তাঁর মা-ই একবার প্রকাশ করেছিলেন।”
এর আগে চারু রাজীবের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে নিউজ পোর্টাল পিঙ্কভিলাকে জানিয়েছিলেন, “বাপের বাড়ি কয়েক মাস থাকার পর, আমি মুম্বই ফিরে আসি এবং আমার গর্ভাবস্থার বেশিরভাগ সময় এখানে কাটিয়েছি। তিনি গুরগাঁও-এর পূর্ব থেকে বান্দ্রার জিমের জন্য সকাল ১১ টায় রওনা দিতেন এবং রাত ১১ টার দিকে, কখনও কখনও ৭, ৮ বা ৯ টার দিকে বাড়ি ফিরতেন। যখন আমি তাঁকে প্রশ্ন করতাম যে কেন তাঁর এত ঘন্টা জিমে সময় লাগে, উত্তরে তিনি প্রায়শই বলতেন, ‘মুম্বইয়ের ট্র্যাফিক কমার জন্যে আমি বান্দ্রার একটি ক্যাফেতে বসে কিছুটা সময় অতিক্রান্ত করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই।’