নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন কয়েক আগেই দক্ষিণী সুপারস্টার থালাপথি বিজয়ের আসন্ন চলচ্চিত্র লিও পড়েছে আইনি বিপাকে। সাধারণত কোনও সিনেমা বা ওয়েবসিরিজ শুরু হওয়ার আগেই নির্দিষ্ট সতর্কিকরণে বলে দেওয়া হয়, ‘ধূমপান স্বাস্থ্যকর ক্ষতিকারক’। সিনেমাতে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার একেবারেই বেআইনি। ছবিতে সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার দেখালে তরুণ প্রজন্মের উপর মারাত্মক কোপ পড়তে পারে, তাই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এমনকী লিও-র পোস্টারে বিজয়ের সিগারেট মুখে ছবি নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল, তাঁর নামে এফআইআর দায়ের হয়। এই ঘটনা এই প্রথম নয়, একই কারণে একবার আইনি বিপাকে পড়ছিলেন তামিল সুপারস্টার ধনুশও।
২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল ফিল্ম ‘ভেলাইইল্লা পাট্টাধারি’ ব্যানারে ধনুশের মুখে সিগারেট দেখানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে। প্রধানত এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ ধনুশ, ঐশ্বর্য এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন এস সিরিল আলেকজান্ডার-নামে এক জনৈক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ ছিল, সিনেমার বিজ্ঞাপনের ব্যানারে প্রধান অভিনেতার মুখে সিগারেট ধূমপানের ছবি দেখা গিয়েছে। যা তরুণ প্রজন্মের খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ছবিতে সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ। তবে সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই মামলা বাতিল করেছে। বিচারক শুনানি তে বলেছেন, ছবিতে সিগারেট ধূমপানের চিত্রায়ন কোনও মাদকদ্রব্য প্রচারের উদ্দেশ্যে ছিল না।
বিচারকের কথায়, “জনপ্রিয়তার খাতিরে অভিনেতা বা নির্মাতা কেউ ছাড় পাবে না। আইনের বিধানগুলি কঠোরভাবে অনুধাবন করতে হবে। তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য সমাজে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এই ধরনের ঘটনার কোনও ক্ষমা নেই। কিন্তু তাঁদের উদ্দেশ্য কোনো তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার নয় তাই এই মামলার কোনও যৌক্তিকতা নেই।” এটা প্রমাণ হয়েছে যে, প্রযোজক এবং পরিবেশকরা সিনেমা ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন এবং সিগারেট বা অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না।