নিজস্ব প্রতিনিধি: গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংবাদের আলোচনায় রয়েছেন জাতির ক্রাশ তথা অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দান্না। সৌজন্যে তাঁর ডিপফেক ভিডিও। যেখানে একজন ইন্দো-আমেরিকান মহিলার মুখের জায়গায় রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয় এবং শরীরটা থাকে সেই মহিলার, যাঁর নাম জারা প্যাটেল। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই এক্কেবারে তোলপাড় পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিনেত্রীর অনুরাগী থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন, ম্রুণাল ঠাকুর, চিন্ময়ী শ্রীপাদ, বিজয় দেবেরাকোন্ডা সবাই অভিনেত্রীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। ঘটনাটি নজর এড়য়নি পুলিশ প্রশাসনেরও। সাইবার ক্রাইমের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। এমনকী দিল্লি পুলিশ ১০ নভেম্বর রশ্মিকা মান্দান্নার ডিপফেক মামলায় এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল।
এবার সেই মামলার ভিত্তিতে বিহারের একজন সন্দেহভাজনকে আটক করল দিল্লী পুলিশ। এটি একটি গুরুতর অপরাধ হিসাবে অমিতাভ বচ্চন এবং অন্যান্য বলিউড সেলিব্রিটিরা রশ্মিকার সমর্থনে আসেন এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তোলেন।ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার কয়েকদিন পর, ১০ নভেম্বর এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ। এফআইআরটি ধারা 465 (জালিয়াতির জন্য শাস্তি) এবং 469 (সুনামের ক্ষতি করার জন্য জালিয়াতি) এর অধীনে দায়ের করা হয়েছিল।
দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের ইন্টেলিজেন্স ফিউশন এবং কৌশলগত অপারেশন ইউনিটে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা 66C এবং 66E সহ ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে দিল্লি কমিশন অফ উইমেন পুলিশকে FIR করার জন্য নোটিশ জারি করেছিল। সূত্রের খবর, ১৫ নভেম্বর, দিল্লি পুলিশ রশ্মিকার এই ডিপফেক ভিডিওর সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনকে বিহার থেকে আটক করেছে। তবে এই ঘটনার পর, ভারত সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিকে ডিপফেক সংক্রান্ত আইনি বিধান এবং শাস্তির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।