নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যারা ব্যপক প্রতিভার অধিকারী হয়েও সিনেমায় অভিনয়ের খাতিরে তেমন সুযোগ পায়নি। সারাজীবন পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেই জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন। কিন্তু যাই বলুন না কেন, তাঁরা কিন্তু নায়িকা হওয়ারও যোগ্যতা রেখেছিল। তেমনই একজন হলেন অভিনেত্রী ইলা অরুণ। যিনি কিনা একাধারে গায়িকাও বটে। সম্প্রতি ইলা অরুণের মেয়ে ঈশিতা অরুণ মায়ের প্রতি বলিউডের অবিচার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। ঈশিতাকে সম্প্রতি করিশ্মা তান্না এবং হারমান বাওয়েজার সঙ্গে হংসল মেহতার হিট ওয়েবসিরিজ স্কুপে দেখা গিয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে তরুণ অভিনেত্রী কীভাবে বলিউড তাঁর মায়ের অভিনয়ের প্রতিভাকে অবহেলা করেছিলেন এবং তাঁকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিল সে সম্পর্কে তিনি মুখ খুলেছিলেন।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে ঈশিতা বলেন, “আমার মা এখনও এমন চরিত্র পান যা দিয়ে তিনি তাঁর অভিনয় প্রতিভা প্রমাণ করতে পারেন। আমার মা একজন চমৎকার লেখিকা। হিন্দি ও উর্দু ভাষায় তাঁর দারুণ দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু বলিউডের চলচ্চিত্র সর্বদা আমার মা একজন পতিতা, চাকর বা তাঁতির ভূমিকা পেয়েছে। আমার মনে হয় না এইসব চরিত্র তিনি ডিজার্ভ করতেন।” ঈশিতার দাবি, তাঁর মা ইলাকে তাঁর শারীরিক চেহারার উপর বিচার করে তাঁকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ দেওয়া হত।
৮০-৯০ দশকের শেষের দিকে, তিনি লোকসংগীতে ছিলেন, তাই বলিউডে যাতে তাঁকে কোনো লবির অংশ হতে না হয়, তাই অভিনয় এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর বয়সী আরও অনেক অভিনেত্রী থাকার কারণে তিনি কাজের সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ঈশিতার কথায়, ঠিক সেই সময়ে ওটিটির আবির্ভাব ইলার জন্য একটি আশীর্বাদ ছিল কারণ তিনি ওটিটিতে ভাল চরিত্রের প্রস্তাব পেতে শুরু করেছিলেন। রাম মাধবানি পরিচালিত সুস্মিতা সেনের আর্যা-এর তৃতীয় সিজনে দেখা যাবে ইলাকে। শেষমেশ, ঈশিতা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে একটাই অনুরোধ, ‘আমার মা জীবিত অবস্থায় তাঁকে যেন ভাল চরিত্রের কাজ দেওয়া হয়।’