নিজস্ব প্রতিনিধি: গত অগস্ট মাসের ২৫ তারিখ মুক্তি পেয়েছে তেলেগু সুপারস্টার বিজয় দেবেরকোন্ডা অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘লাইগার’। ছবিটিতে মুলত হিন্দি এবং তেলেগু ভাষায় তৈরি করা হলেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মোট পাঁচটি ভাষায়। যাই হোক, এই ছবি মুক্তির দিন থেকেই বক্সঅফিসে মুখ থুবরে পড়েছিল। তেলেগু সুপারস্টার এই ছবির হাত ধরে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করলেও তাঁর ভাগ্য দেয় নি সঙ্গ। চূড়ান্ত ফ্লপের সম্মুখীন হয়েছে বিজয়ের ‘লাইগার’। তবে এই ছবির ভাঁড়ার ঘরে ঢোকেনি ৫০ কোটিও। তৈরির খরচ তো দূরের কথা। যাই হোক, ইতিমধ্যেই ছবি ওটিটিতে রিলিজ করেছে। কিন্তু সেখানেও ফ্লপ।
তবে এই ছবি মুক্তির এতদিন পরেও ঝামেলা মেটে নি। কারণ ছবিতে ভালো বাজেট না ওঠায়, এই ছবির ডিস্ট্রিবিউটাররা এখনো পর্যন্ত তাঁদের প্রাপ্য টাকা পায়নি। সেই কারণেই সম্প্রতি নির্মাতা পুরী জগন্নাথের হায়দ্রাবাদে বাড়ির সামনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা নির্মাতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং নানারকম হুমকি দেয়। যার ফলে নিজেকে রক্ষার্থে পুলিশি সুরক্ষা চেয়েছেন নির্মাতা। পুলিশের কাছে পুরী জগন্নাথ অভিযোগ করেছেন যে, ডিস্ট্রিবিউটররা তাঁকে কোনোভাবে হুমকি বা ব্ল্যাকমেইল করতে পারে না। তবে যদি তাঁরা মনে করে যে, সে বা তাঁর ফার্ম তাঁদের পাওনা মেটাচ্ছে না, তাহলে তাঁরা দেওয়ানী মামলা করুক। তবে পুরী জগন্নাথ বর্তমানে মুম্বইতেই বাস করেন।
পুলিশের কাছে পুরী আরও বলেন যে, চুক্তি অনুসারে তিনি তাঁর সমস্ত বকেয়া ডিস্ট্রিবিউটর ওয়ারাঙ্গল শ্রীনুকে পরিশোধ করে দিয়েছিলেন। শ্রীনু সাব-ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছেও অর্থপ্রদান করেছেন। তবে শ্রীনুই এখন সহিংসতা উস্কে দিয়ে তাঁর হায়দ্রাবাদের বাড়িতে প্রবেশ করে তারা পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করেছে। সেই বাড়িতে রয়েছেন নির্মাতারা ৮৫ বছর বয়সী শাশুড়ি, স্ত্রী এবং মেয়ে। পুরী জগন্নাথ তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প ‘লাইগার’ তৈরি করতে প্রায় তিন বছর সময় ব্যয় করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী এই ছবি মাত্র ২৫ কোটি আয় করেছিল।