আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা’তে আক্রমণের উদ্বেগের মধ্যেই ইজরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কে এই তথ্য জানান এক মার্কিন কর্মকর্তা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ইজরায়েলে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত করা ওই চালানে ছিল ১ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার পাউন্ড (৯০৭ কিলোগ্রাম) ও ১৭ লাখ ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা। শুধু তাই নয় এই বিষয় নিয়ে কর্মকর্তা বলেন, ‘রাফায় বেসামরিক লোকজনের মানবিক চাহিদা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ‘পুরোপুরি বিবেচনায়’ নেয়নি ইজরায়েল।’ যদিও এই বিষয় নিয়ে ইজরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে আপাতত কোনো সাড়া মেলে নি।
এই বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে হোয়াইট হাউস প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত (আপাতভাবে), যেহেতু রাফায় ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাঁদের অন্যত্র যাওয়ার জায়গা নেই। তাই ইজরায়েলের বড় রকমের স্থল অভিযান চালানো উচিত হবে না।’
তিনি বলেন ‘ইজরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিয়ে আলোচনা চলছে। রাফায় বেসামরিক মানুষের মানবিক চাহিদা ইজরায়েল কীভাবে মেটাবে ও সেখানে হামাসের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযান পরিচালনা করবে, সেসব বিষয়ে স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেটিভ গ্রুপের কাঠামোয় দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা এখনও চলছে।’ তিনি আরও বলেন, আলোচনা এখনো চলছে এবং আমাদের উদ্বেগকে পুরোপুরি বিবেচনায় আনা হয়নি। রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর ব্যাপারে ইজরায়েলি নেতাদের সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ফলে ইজরায়েলে প্রস্তাবিত অস্ত্রের চালান পাঠানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছি আমরা।’
তাই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার ফলাফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ইসরায়েলে বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে এবং চালানটির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এই প্রসঙ্গে উঠে আসে ফিলিস্তিনিদের কথা। অব্যাহত হামলার কারণে গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চল থেকে পালিয়ে ১০ লাখের মতো ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তাঁবু টানিয়ে গাদাগাদি করে কোনরকমে বাঁচতে চাইছেন তাঁরা। এর মধ্যেই গত সোমবার থেকে রাফায় অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েল। প্রাণ বাঁচাতে এখান থেকেও পালানো শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে এবার তাঁদের কথা ভেবে এবার অস্ত্রের চালান আপাতত স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।