নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের অন্যতম বিতর্কিত নায়িকা পরীমণির সংসারের কেচ্ছা আবারও সংবাদের শিরোনামে। ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহ থেকে। যখন পরীমণির স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ফাঁস হয়ে যায় অভিনেতার বান্ধবীদের আপত্তিকর ভিডিও। যা দেখে এখন রীতিমতো ফুঁসছে, অভিনেত্রী তানজিন তিশা, সুনেরাহ, তুষি। যাঁদের অশ্লীল ভাষার গালিগালাজের ভিডিও থেকে শুরু করে মদ্যপ অবস্থার একাধিক ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সব ডিলিট করা হয়েছিল। কিন্তু মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় তাঁদের ভিডিও।যা নিয়ে সন্দেহের তীর প্রথমেই যায় পরীমণির দিকে। ধারণা, সমাজের চোখে রাজের ইমেজ খারাপ করে দেওয়ার কারণেই এমনটা করেছে পরীমণি। যদিও এই ঘটনা এর আগেও ঘটিয়ে ছিলেন পরীমণি। মিমের সঙ্গে রাজের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তবে এবারের ঘটনায় আর সংসার বাঁচাবেন না বলেই দাবি পরীমণির। মিথ্যে অভিযোগ উড়িয়ে রাজের বিষয়ে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেন পরী।
জানান, রাজ অনেকদিন ধরে তাঁর কাছে থাকেনা। যদিও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে রাজও ছাড়েননি পরীকে কটূ কথা শোনাতে। তারকা দম্পতির পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে একেবারেই পরিষ্কার যে, বিয়েবিচ্ছেদের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তারা। সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে পরীমণি জানান, “সংসার টিকিয়ে রাখতে তাঁর পক্ষ থেকে চেষ্টার কোনও কমতি ছিল না। বিয়ের পর আমার নানু ভাই বাসায় থাকাটাও রাজের কাছে ডিস্টার্ব ছিল। কারণ আমরা সেই বাসাটা শিফট করে ছোট বাসায় চলে গেছি। আমার মনে এটা হয়েছে— অনেক সময় মাঝ রাতে ও অনেক সাউন্ড দিয়ে গান শুনতে চায়, যেটাতে আমার নানুর সমস্যা হয়। এখানে রাজকেও আমি কিছু বলতে পারি না। কারণ রাজের মুডটা ওরকম থাকে এবং নানু ভাইকেও আমি কিছু বলতে পারি না। তখন এই ব্যাপারটাই আমি চাচ্ছিলাম না, জয়েন্ট ফ্যামিলিতে কিছু কিছু প্রবলেম হয়, আর যেখানে নানু ভাই সারাজীবন আমার সঙ্গে থেকে এসেছে, সেখানে নানু ভাইকেও আমার বাড়িতে শিফট করে দিয়েছি।” এ পর্যায়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমার ফোকাস ছিল আমার ফ্যামিলিটা। দেখেন কোনো কিছু হলে তো পরীকেই এখন দায়ভার নিতে হবে যে, এই মেয়েটা আসলে সংসার করতে পারে না। আরও ১০ জন এলে আমার ওপরেই আঙুলটা তুলবে যে এই মেয়েটার-ই প্রবলেম। এইটা আমি যেভাবে বুঝি, আপনি যেভাবে বোঝেন, এটা রাজও খুব ভালোভাবে বুঝিয়েছিল।”