নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপারস্টার আমির খানের ভাগ্নে হওয়া সত্ত্বেও বলিউডে তেমন সাফল্য পেলেন না ইমরান খান। অথচ এককালে বলিউডের মোস্ট চার্মিং হিরো ছিলেন ইমরান। ‘জানে তু…ইয়া জানে না’, ‘আই হেট লাভ স্টোরিজ’, ‘দিল্লি বিল্লি’-সহ একাধিক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি খ্যাতি অর্জন করে ছিলেন। কিন্তু তাঁর ঝুলিতে ছবির হিটের থেকে ফ্লপের মাত্রা বেশি। ব্যর্থতায় মুড়ে বলিউডই ছেড়ে দেন অভিনেতা। ২০১৫ সালে ‘কাট্টি বাট্টি’ র পর আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি অভিনেতাকে। যদিও মাস কয়েক ধরেই গুজব উঠছে যে, খুব শীঘ্রই বলিউডে কামব্যাক করতে চলেছেন ইমরান খান। তবে বলিউড থেকে চলে যাওয়ার লাইফস্টাইল পুরোটাই বদলে গিয়েছিল অভিনেতার। সাধারণত বলিউড তারকারা এক একজন কয়েকশো কোটির মালিক, সেটাই ধারণা সবার! কিন্তু বসে খেলে যে রাজার ভাণ্ডারও ফুরিয়ে যায়, সেটাও অজানা নয় নয় কারুর। অভিনেতার উচ্চ জীবনযাত্রা রীতিমতো বিলীন হয়ে গিয়েছিল।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানালেন যে, বলিউড ছাড়ার পর তিনি এক কথায় ভিখারি হয়ে গিয়েছিলেন। আসলে রণবীর কাপুরের সঙ্গে টেক্কায় পেরে উঠেছিলেন না অভিনেতা। তবে ২০২৩ সালে, ইমরান খান চলচ্চিত্রে ফিরে ঘোষণা করার পর থেকেই ভক্তরা উল্লসিত হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি ভোগ ইন্ডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ছয় বছর হল তাঁর হাতে বেশ কিছু সিনেমা এসেছে। এরপর থেকে সিনেমার ব্যবসায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং তার জীবনেও অনেকে পরিবর্তন হয়েছে। টেকসই ফ্যাশনের রাজা হয়ে ওঠা থেকে বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি করা থেকে তার চুল কাটা পর্যন্ত, একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে তিনি ছোট করেই চুল কাটেন। টাকার অভাবের জন্যে নিজের প্রিয় চেরি-লাল ফেরারি গাড়ি বিক্রি করে ভক্সওয়াগেন কেনেন। তিনি এখনও এক দশক আগের রে-ব্যান-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ইমরান তার পলি হিলের বিলাসবহুল বাংলো থেকে বান্দ্রার একটি অ্যাপার্টমেন্টে চলে আসেন। তিনি তার রান্নাঘরে মাত্র তিনটি প্লেট, তিনটি কাঁটা, দুটি কফির মগ এবং একটি ফ্রাইং প্যান রাখেন। একটি সময় ছিল, যখন তিনি খোলা না করা ইমেল এবং বার্তা বিজ্ঞপ্তি সহ্য করতে পারতেন না।
এখন তার ফোনে ম্যাসেজের বন্যা বয়ে যায়, কিন্তু পড়ার কেউ নেই। তবে এত দিন তিনি অভিনয় থেকে দূরে থাকার বিষয়ে কোনও আক্ষেপ প্রকাশ করেননি। তাঁর কথায়, “আমি ২০১৬ সালে খুব আঘাত পেয়েছিলাম। আমি ভিতরে ভিতরজ ভেঙে পড়েছিলাম। ভাগ্যক্রমে, আমি এমন একটি শিল্পে কাজ করছিলাম যা আমাকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করেছিল, তাই আমার বয়স যখন ৩০ বছর, তখন আমাকে অর্থ নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। সেই মুহুর্তে, এটি আমার ক্যারিয়ার ছিল না কারণ আমি এটির জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পারছিলাম না। আমি সম্প্রতি বাবা হয়েছি এবং ভেবেছিলাম, এটি মূল্যবান। এটাকে আমি গুরুত্ব সহকারে নিই। আমি ইমার সেরা বাবা হতে চেয়েছিলাম। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে অভিনেতা হওয়া আর আমার কাজ নয়। এখন, আমাকে আমার মেয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিশালী হতে হবে।”