এই মুহূর্তে




‘ভিতরে ভিতরে কেঁপে উঠছি, রাতে ঘুম হচ্ছে না’, আবার কী কারণে ভয় পাচ্ছেন করিনা?




নিজস্ব প্রতিনিধি: সেই দুর্বিষহ রাত! কেটে গিয়েছে ৬ মাস। যেখানে মুম্বইয়ের জুহুতে অবস্থিত সইফ-করিনার বাড়িতে একজন অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তি ঢুকে অভিনেতা সইফ আলি খানকে ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনায় বুকে ঘাড়ে চরম আঘাত পেয়েছিলেন সইফ আলি খান। এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর ছেলে ইব্রাহিম তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান। কয়েক ঘন্টার অপারেশনের পর অভিনেতা বিপদ্মুক্ত হন। অস্ত্রপচারে অভিনেতার মেরুদণ্ড থেকে ২.৫ ইঞ্চি লম্বা ব্লেডের টুকরোটি অপসারণ করা হয়। কিন্তু সেই ট্রমা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন পতৌদি খানদানি। জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি একাধিক নিরাপত্তারক্ষীর চোখের আড়ালে চুরির উদ্দেশ্যে সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুরের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন একজন অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তি। তাঁকে প্রথম দেখতে পেয়ে ছিলেন সইফ করিনার ছোট ছেলে জেহর আয়া।

এরপর তাঁর সঙ্গে চরম তর্কাতর্কির আওয়াজ শুনে ঘর থেকে ছুটে আসেন সইফ-করিনা। নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে সইফ আলি খান ওই শেহজাদ নামক ওই ব্যক্তিকে বাধা দেন। এরপর অপরাধী নিজের প্রাণ বাঁচাতে সইফকে ২-৩ বার ছুরিকাঘাত করে পালায়। এই ঘটনার সপ্তাহ কয়েক পরে অপরাধীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং জানা যায় অপরাধী বাংলাদেশ থেকে কয়েক মাস আগেই ভারতে পালিয়ে আসে এবং অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গে কয়েক মাস থাকার পর কাজের খোঁজে মুম্বই আসেন। এখন কারাগারে দিন কাটছে শেহজাদের। কিন্তু এই ঘটনায় এখনও আতঙ্কিত সইফ পরিবার। স্বামীর উপর আক্রমণের কয়েক মাস পর মুখ খুললেন করিনা কাপুর খান।

একটি সাক্ষাৎকারে করিনা বলেন, মুম্বইতে এই ধরনের ঘটনা খুব কমই শোনা যায়, যেখানে আমেরিকায় এই ধরণের ঘটনা বেশি দেখা যায়। তিনি এখনও এই ঘটনার সঙ্গে পুরোপুরিভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি। এমনকী ঘটনার প্রথম কয়েক মাস তিনি খুব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন, ঘুমোতে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছিল করিনাকে। তিনি আরও বলেন, “তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, আমি বুঝতে পেরেছি যে স্মৃতি ক্রমশ ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এটা মৃত্যুর মতো ছিল। যখন আপনি চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখবেন, তখন আপনি কখনই সত্যিই তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। আমি সবসময় এটাই অনুভব করেছি। আমি আমার সন্তানদের জন্য সেই ভয়ের মধ্যে থাকতে চাই না কারণ তাদের উপর সেই চাপ চাপানোও ভুল। একজন মা এবং একজন স্ত্রী হিসেবে আমার জন্যে ভারসাম্য বজায় রেখে ভয় এবং উদ্বেগকে কাটিয়ে ওঠা খুবই কঠিন যাত্রা ছিল। আমি কেবল কৃতজ্ঞ এবং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে সবাই নিরাপদে আছে। ঘটনার পর আমার ৪ বছর বয়সী ছেলে জেহর প্রতিক্রিয়া ছিল যে, সইফ একজন ‘ব্যাটম্যান’ বা ‘আয়রন ম্যান’। ছেলেরা এক অনন্য ধরণের স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে, কারণ তারা তাদের বাবাকে এমন এক বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছে। এই বেদনা আমার মনে হয় তা তৈমুর এবং জেহকে আরও অনেক বেশি ভিন্ন ধরণের মানুষ করে তুলবে। তবে অবশ্যই এটি তাদের দেখা উচিত ছিল না। তবে এখন তাঁরা ওই ট্রমা থেকে বেরিয়ে এসেছে।’

ব্যক্তিগতভাবে তিনি এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করছেন জানতে চাইলে, করিনা প্রকাশ করেছেন যে, একজন মা হিসেবে, তিনি তার চাপ এবং উদ্বেগ তার ছেলেদের কাছে না পাঠানোর চেষ্টা করছেন। তবে, একজন ব্যক্তি হিসেবে, এই ঘটনাটি তাকে ‘মৃত্যুর গভীরে নাড়িয়ে দিয়েছে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চুরির অভিযোগে দুবাই বিমানবন্দরে গ্রেফতার ‘বিগ বস্‌’ খ্যাত আবদু রোজিক

একই অঙ্গে চার রূপ, দাদু, বাবা এবং দুই ভাইয়ের ভূমিকায় আল্লু অর্জুন

‘প্রজাপতি ২’-তে ফের পুলিশের ভূমিকায়? লন্ডন ব্রিজে ১৩ বছরের স্মৃতি তাজা করলেন দেব

‘কানাডা আপনার ভাঁড়ামো-র জায়গা নয়’, এবার কপিলকে হুমকি পান্নুনের

‘ভাল ছেলে’র অবতার ছেড়ে আবারও ধূসর চরিত্রে গৌরব, কোন ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে?

‘প্রাপ্তবয়স্ক দুনিয়ায় স্বাগত’, কত বড় হল রবিনার ছেলে?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ