নিজস্ব প্রতিনিধি: বেশ কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে। সবার বক্তব্য, মাদক জাতীয় দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে কেন থাকছেন তারকা মহল, এই যাত্রায় বলিউডের শাহেনশাহ থেকে বাদশা সবার দিকেই আঙুল উঠেছে। কেন তাঁরা এহেন বিজ্ঞাপনে নিজেদের নাম তোলার আগে একটু ভেবে দেখেন না, দর্শকদের এটাই বক্তব্য। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতন তোলপাড়।
যদিও সম্প্রতি এই নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা হওয়ার পর মুখ খুলেছিলেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার। তিনিও এক পান মশলা সংস্থার বিজ্ঞাপনী মুখ, যারা বাজারে তামাক জাতীয় দ্রব্যও বিক্রি করেন। এই নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই মুখ খোলেন অক্ষয় কুমার, তিনি দর্শকদেল মতামতের সম্মান জানিয়েই এই বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি স্পষ্টই বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়েই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সঙ্গে এও জানিয়েছিলেন যে, এই বিজ্ঞাপন থেকে যা অর্থ পেয়েছিলেন সবটাই প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যয় বা দান করবেন। সেই কারণেই এবার আইনী জটের থেকে বাদ পড়ল খিলাড়ি কুমারের নাম। কিন্তু রেহাই পান নি, অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, রনবীর সিং এবং অজয় দেবগনরা।
তাঁদের জীবনে এখন নয়া সঙ্কট। নতুন করে অভিযোগ দায়ের করা হল এহেন চার জনপ্রিয় সেলেবের নামে। তবে রেহাই পেয়ে গেলেন অক্ষয়। ক্ষমা চেয়ে নেওয়াই তাঁকে বাঁচিয়ে দিল। সম্প্রতি সামাজিক কর্মী তামান্না হসম এই অভিযোগ দায়ের করেছেন এহেন বিপণনী সংস্থার প্রধান মুখ হওয়ার কারণে, এই চার অভিনেতার উপর। ৪৬৮, ৪৬৭, ৪৩৯ ও ১২০বি ধারায় এই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শীঘ্রই তা কোর্টে উঠবে বলেও সূত্রের খবর। এমনকী এও দাবি উঠেছে যে, সেলেবরা তাঁদের জনপ্রিয়তাকে ভুল পথে চালিত করেছে। কেবলমাত্র টাকার প্রয়োজনেই তাঁরা এই পথ বেছেছে। আগামী ২৭ মে এর শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে কোনও সেলিব্রিটির বিজ্ঞাপনের মুখ হওয়া মানেই সেই পণ্যকে বাজারে বিক্রি জোরদার করা। কারণ একটা জনপ্রিয় সেলিব্রিটির একটি বিজ্ঞাপনের মুখ মানেই ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা। মানে এটাই দাঁড়ায়, যে ওই সেলিব্রিটিও এই পণ্য ব্যবহার করেন, তাই ভক্তরাও যেন এই পণ্য ব্যবহার করে।
তার মানে এটি কোনো ক্ষতিকারক নয়, এর জন্যেই তারকারা বিজ্ঞাপনের ব্র্যান্ড আম্বাসাডার হন। আর এর জন্যে তারকাদের পকেটে ঢোকে কোটি কোটি টাকা, এবার তার জন্যই বিপাকে এহেন জনপ্রিয় অভিনেতারা।
