নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনয় পেরিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে তারকাদের ভিড়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রথম থেকেই একের পর এক চমক দেখাচ্ছে রাজনৈতিক মহলগুলি। যেমন তৃণমূল, তেমনি বিজেপি। তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন একাধিক তারকা। এছাড়াও ইতিমধ্যেই সারা দেশজুড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন একাধিক তারকা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন অরুণ গোভিল, সোনু সুদ, অনুপমা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। শুধু তাই নয়, শনিবার দিল্লিতে বিজেপি আফিসে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন কিংবদন্তি কন্ঠশিল্পী অনুরাধা পডওয়াল। জীবনের নয়া ইনিংস শুরু করলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। যার কন্ঠের গানে এখনও ডুব দেন সকল প্রজন্ম। এবার রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করলেন অনুরাধা পডওয়াল। মোদী ভজনার পুরস্কার পেলেন গায়িকা। যোগ দিলেন বিজেপিতে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এটাকেই মোক্ষম সময় বেছে নিলেন অনুরাধা পডওয়াল। এদিকে আজই কয়েকটি রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার দুপুর ১.১৫ নাগাদ ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিলেন বিখ্যাত গায়িকা অনুরাধা পডওয়াল। যোগ দিয়েই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ‘অনেকদিন ধরেই আমি বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু নানা কারণে হয়ে ওঠে নি, অবশেষে সুযোগ পেলাম।’ অনুরাধা পডওয়াল বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা। বিশেষত নব্বইয়ের দশকে ভক্তিমূলক গানের জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন অনুরাধা পডওয়াল। তাঁর বয়স এখন ৬৯ বছর।
১৯৬৯ সালে অরুণ পডওয়ালের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। যিনি ছিলেন এসডি বর্মনের সহকারী এবং সঙ্গীত সুরকার। তাদের দুই সন্তান, ছেলে আদিত্য ও এক মেয়ে কবিতা। তবে তাঁর ছেলে কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। এবং অনুরাধা পডওয়ালের স্বামী মারা গিয়েছেন ১৯৯১ সালে। এবার কেরিয়ারের নয়া মোড়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে মোকাবেলা করতে বিরোধী দলগুলি ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠন করেছে। এই জোটে রয়েছে দুই ডজনের বেশি বিরোধী দল। যেখানে এনডিএ-তে প্রায় ৪০টি দল রয়েছে। এনডিএ-র বর্তমানে ৩৫০ টিরও বেশি সাংসদ রয়েছে। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া ব্লকে প্রায় ১৫০ এমপি রয়েছে। তবে, ইন্ডিয়া ব্লকও অনেক রাজ্যে ধাক্কা খেয়েছে, কারণ সেখানকার দলগুলো একাই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিএমসি ইন্ডিয়া ব্লকের অংশ, কিন্তু তিনি একাই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ৪২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
২০১৯ সালে, লোকসভা নির্বাচন সাত ধাপে পরিচালিত হয়েছিল। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশন ১০ মার্চ তারিখ ঘোষণা করেছিল। প্রথম ধাপের ভোট ১১ এপ্রিল এবং শেষ ধাপের ভোট ১৯ মে অনুষ্ঠিত হয় ফলাফল আসে ২৩ মে। ওই নির্বাচনের সময় দেশে ৯১ কোটির বেশি ভোটার ছিল, যার মধ্যে ৬৭ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন।