নিজস্ব প্রতিনিধি: সকল পিতা-মাতারই স্বপ্ন থাকে তাঁদের সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে। দেশের ১০ জনের মধ্যে একজন হিসেবে গড়ে তুলতে। তাই সন্তানকে মানুষ করার জন্যে সকল মানুষ নিজের জীবন উজাড় করে দিতেও পিছপা হন না। এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি, এমনকি সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রেও বহুল আলোচিত এই প্রসঙ্গটি। বাবা-মা যেমন সন্তানের সাফল্যে নির্ভরশীল, তেমনি সব সন্তানও চায় তাঁর বাবা-মায়ের জন্যে নিজের সাধ্যমতো কিছু করতে, যাতে নিজের মন পূর্ণতা পায়। এই যেমন ধরুন, কিংবদন্তি অভিনেতা-অভিনেত্রী নাসিরুদ্দিন শাহ এবং রত্না পাঠকের ছেলে ভিভান শাহ সম্প্রতি তাঁর জীবনের একটি সেরা মূল্যবান সংবাদ পেশ করেছেন। জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বাবার পরিচালিত ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।
নাসিরুদ্দিন শাহ, বলিউডের তৎকালীন যুগের একটি স্তম্ভ। অমিতাভের সমকালীন সময়ের অভিনেতা তিনি। নায়কের চরিত্রে খুব কম অভিনয় করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁর নেগেটিভ চরিত্রের অভিনয় নজর কেড়েছে সকলের। আজও এই অভিনেতার সমান দাপট বলিউডে। তাঁর স্ত্রী রত্না পাঠকও বলিউডের একজন বিশিষ্ট অভিনেত্রী। তিনি বলিউডের তৎকালীন যুগ থেকে অভিনয় করে চলেছেন। তবে এবার তিনি ছেলের সঙ্গে ছবি বানাতে চলেছেন। বাবার সঙ্গে কাজ করাটা যেন ভিভানের কাছে একটা স্বপ্ন ছিল। এদিন অভিনেতা ডিভান প্রকাশ করেছেন যে, তাঁর বিশিষ্ট বাবা তাঁকে নিয়ে একটি নামহীন ছবি পরিচালনা করছেন। মুভি ক্লিপের একটি ছবি শেয়ার করে এদিন ভিভান শাহ লিখেছেন, “আজ আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন! আমরা সবেমাত্র একটি ফিল্ম র্যাপ করেছি যেটি সবচেয়ে বিশেষ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে সুন্দর ফিল্ম হতে চলেছে, যেখানে আমি অংশ নিচ্ছি! একটা স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হলো! আমি আমার বাবার দ্বারা পরিচালিত হতে পেরে আমি কতটা আনন্দিত বোধ করছি তা বর্ণনা করার মতো শব্দ আমার কাছে নেই! আমার হৃদয় খুব পূর্ণ !”
তিনি আরও বলেন, “আমি এই ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। চমৎকার, উজ্জ্বল এবং সুন্দর দল এই ছবিতে অংশ নিচ্ছে। তাঁদেরকে জেনে এবং তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। গত পাঁচ দিন আমার জীবনের সবচেয়ে বিশেষ দিন ছিল।” ২০১১ সালের ‘সাত খুন মাফ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একজন অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন ভিভান। এরপরে তাঁকে ফারাহ খানের ছবি হ্যাপি নিউ ইয়ারেও দেখা গিয়েছিল।