নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ঘোষণা করলেন ঢালিউডের চর্চিত অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি(MAHIYA MAHI)। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি এবং তাঁর স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ এর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের পারিবারিক কিছু সমস্যার জন্যে তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে অভিনেত্রীর স্বামী রকিব সরকার এখনও কোনও মুখ খোলেন নি। বরং এই জল্পনার মধ্যেই তাঁদের কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ২০২১ সালে রকিব সরকারকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। ২০২০ সালে তিনি প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন। আর ২০২১ সালে রকিবকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে সেই ঘরে পুত্রসন্তানের ও জন্ম দেন মাহি।
কিন্তু মা হওয়ার ১ বছরের মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। যদিও ঠিক কী কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি।সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মাহি দ্বিতীয় স্বামী প্রসঙ্গে বলেন, রকিবের সম্বন্ধে কোনও খারাপ কথা তিনি বলতে পারবেন না। তবে তাঁরা দুজনেই এ সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তাতে সফল হলেন না। তাই তিক্ত হওয়ার চেয়ে বন্ধুত্ব রাখতে চাইছেন তাঁরা। তবে তাঁরা এখন একসঙ্গে থাকেন না। কিন্তু ছেলে ফারিশের নিয়মিত খোঁজ নেন রকিব। এছাড়াও ফারিশের কী প্রয়োজন সেসব বিষয়ে তাদের ফোনে কথা হয়। অতএব ফোনে যোগাযোগ রয়েছে। ফারিশের যোগ্য বাবা তিনি। পৃথিবীতে এমন বাবা পাওয়াটা খুব টাফ। পুরো সাক্ষাৎকারে রকিবের প্রসংশায় পঞ্চমুখ মাহি।
এদিকে নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, যতটুকু রাজনৈতিক মহলে নিজের অস্তিত্ব অর্জন করেছেন, সবটাই রকিবের জন্য। তাঁর সাংসদ নির্বাচনে প্রচারের সমস্ত কাজ রকিব করেছেন। তিনটা বছর তাকে কাছ থেকে দেখেছেন। কিন্তু অভিনেত্রীর প্যাটার্ন এবং রকিবের প্যাটার্ন সম্পূর্ণ আলাদা, তাই এই সিদ্ধান্ত। দীর্ঘ বিরতির পর আবারো কাজে ফিরেছেন মাহি। ২০২৪ থেকে তিনি আবার সিনেমা করবেন, সবই ভালো প্রজেক্টের। কোনো সাধারণ কাজ করবেন না তিনি। আবারও শূন্য থেকে শুরু করবেন তিনি। তবে তিনি কাজ শুরু করলেন তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের স্বার্থে। দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে তিনি হেরে গেলেও সর্বদা মানুষের পাশেই থাকার কথা তিনি খেলাপ করবেন না।