নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আসন্ন বাংলাদেশের সাংসদ নির্বাচনে একের পর এক মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েও বাদ পড়ছিলেন ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির চর্চিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েও কাজের কাজ হয়নি। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও মনোনয়নপত্র পাননি মাহি। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। দিন কয়েক আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রাজশাহী-১ আসনের জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাও হাতছাড়া হয়েছিল। কারণ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে প্রতিটি প্রার্থীকে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষর নিতে হয়। সেখানেই গলদ ছিল অভিনেত্রীর। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি।
মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করেছিলেন। অবশেষে দিন কয়েক আগেই বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তবুও তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। শনিবার তো তাঁকে জুতো দিয়ে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন অভিনেত্রীর এক বিরোধী পক্ষ। যে কারণে মধ্য রাতেই অভিনেত্রী থানায় ছুটে যান। এদিকে সম্প্রতি মাহি তাঁর আসনের গোদাগাড়ী উপজেলায় গিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোপে পড়েন। বেশ কিছু গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় যে, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চেয়েছেন মাহি’। কিন্তু অভিনেত্রী বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মাহিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হল।
প্রচারণার সময় অতিরিক্ত মাইক ব্যবহার করার কারণে তাকে এই অর্থদণ্ড দিতে হবে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালত।রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সিফাত তাঁকে জরিমানা করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ধারা ১৮ (১) মোতাবেক মাহিকে জরিমানা করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী প্রচারণার সময় সর্বোচ্চ ৩টি মাইক ব্যবহার করতে পারেন প্রার্থীরা। কিন্তু সম্প্রতি প্রচারণার সময় মাহি ৭টি মাইক ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ কারণেই মাহিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা জরিমানা করতে হয়েছে তাঁকে। এর আগে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় মাহিয়া মাহিকে শোকজ করা হয়েছিল।