নিজস্ব প্রতিনিধি: মূর্তি পূজা ও বাঙালি, ওতোপ্রতো জড়িত। স্বাভাবিকভাবেই হিন্দুরা দেব-দেবীতে বিশ্বাসী। যুগ যুগ ধরে হিন্দুরা যে কোনও ঠাকুর পুজোতেই একাধিক নিয়মকানুন পালন করে আসছে। তবে বাঙালিদের ঘরে যেটা দেখা যায়, তা হল সিংহাসন, অর্থাৎ ভগবানের আসন। সকাল সন্ধ্যায় নিয়মিত পূজার্চ্চনাও করতে হয় তাঁদের। বিশ্বাস বেশি ভক্তি, বেশি সাফল্য। যাই হোক, প্রতিটি বাঙালিদের ঘরের সিংহাসনে কিছু থাকুক কি না থাকুক! লক্ষী এবং গোপালের মূর্তি থাকবেই। প্রতি বৃহস্পতিবারে আবার লক্ষীব্রত পালনেও নিয়ম রয়েছে। যাই হোক, লক্ষী ঠাকুরকে নিয়ে তৈরি সংগীত জগতের একটি কালজয়ী বাংলা গান হল ‘এসো মা লক্ষী বসো ঘরে, আমারই ঘর করো আলো করে’।
আজও কোজাগরী লক্ষী পুজোর দিনে প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে এই গানটি চালানো হয়ে থাকে। গানটির গীতিকার হলেন স্বর্ণযুগের গীতিকার মিল্টু ঘোষ (Miltu Ghosh)। তাঁর লেখা ‘এসো মা লক্ষ্মী…’ গানটির জনপ্রিয়তা আজও বহুল। সেই মিল্টু ঘোষই আর নেই, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা নাগাদ সুরালোকে পাড়ি দিয়েছেন জনপ্রিয় গীতিকার। গত মাস থেকেই সুরের জগতে একের পর এক ইন্দ্রপতন হচ্ছে। উস্তাদ রশিদ আলি খান, গজল কিং পঙ্কজ উধাস, অসীমা মুখোপাধ্যায়ের পর এবার বাংলা হারাল আরেক স্বর্ণযুগের শিল্পীকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা নাগাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর লেখা ‘এসো মা লক্ষ্মী’ গানের কথা, সুর ও গায়কি আজও বাঙালির মনে বাস করে। বাংলা সঙ্গীত দুনিয়ার সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিই এবার রওনা দিলেন সুরালোকে। মৃত্যুকালে মিল্টু ঘোষের বয়স হয়েছিল ৯০। তিনি থাকতেন বরানগরে।