নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ছেলে রাজ্যের জন্যে বিশাল ত্যাগ অভিনেত্রী পরিমণির। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা, সর্বদাই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে বিরাজমান তিনি। কখনও সাংসারিক কলহ আবার কখনও নিজের অতীত নিয়ে আইনি জটিলতা, আবার কখনও পরোপকারী পরীমণি। সর্বদাই বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীকে মাতোয়ারা সোশ্যাল দুনিয়া। ঢাকার পাশাপাশি কলকাতাতেও সমান চর্চিত তিনি। ২০২১ সাল থেকে তিনি বিতর্কের শীর্ষে, অভিযোগ তিনি মাদক পাচারকরী। তাঁর বাড়ি ঘেঁটে পাওয়া গিয়েছিল একাধিক মাদক দ্রব্য। এছাড়াও তিনি হাজতবাসও করেছেন। সেই মামলা এখনও আইনের খাতায় বরাদ্দ। তবে আইনির জটিলতাকে পাত্তা না দিয়েই একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়েছেন নায়িকা। এই বিতর্কের মাঝেই গতবছর আচমকাই শোনা যায়, তিনি মা হতে চলেছেন। আসলে ‘মা’ ছবির সেটেই নায়ক শরিফুল রাজের কাছে তাঁর মন দেওয়া-নেওয়া।
মিডিয়ার আড়ালে গোপন বিয়ে। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হওয়া মাত্রই সামাজিক বিয়ে সারেন তাঁরা। ছেলে আসার প্রতিটি দিনক্ষণ উদযাপন করেছেন দুজনা। গতবছর আগস্টে তাঁর কোলে আসে রাজ্য। ছেলে হওয়ার পর অনেকটাই মোটা হয়ে গিয়েছেন নায়িকা। তবে তাতে একেবারেই পাত্তা দেন না তিনি। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে মানুষ করছেন, ছেলের প্রথম কথা বলা, প্রথম বসতে শেখা সবটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি, তাঁর কথায় ছেলে যতদিন ছোট্ট থাকবে তাঁকে বুকে জড়িয়ে রাখবেন বড় হলে তো কোলে নেওয়া যাবেনা। এদিকে গত বছরের শেষে নায়ক স্বামী রাজের সঙ্গেও তাঁর দাম্পত্যে কলহ শুরু হয়, যে কারণে রাজের থেকে আলাদা হতেও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুত্রের কথা ভেবে আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি অভিনেত্রী। তবে এখন সবটাই কুল।
স্বামী ও ছেলের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অবতীর্ণ হন নায়িকা। কিছুদিন আগেই ৭ মাসে পড়ল রাজ্য। তাই ছেলের সুস্থতার কথা ভেবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরীমণি। আগামী মাতৃ দিবসেই তাঁর বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘মা’ মুক্তি পাচ্ছে। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে পরী জানান, “আমি এখন আমার সঙ্গে বা বেডরুমে আমার মোবাইল ফোন রাখিনা। কারণ, রাজ্য এখন বড় হচ্ছে, আর সবার মোবাইল ফোন নোটিস করে নানা কারণে। এটাতে ওর আগ্রহ বাড়ছে। তাই আমি এমন সবকিছু এখন খুব সচেতন ভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছি। কারো সঙ্গে কথা বলার সময় ছাড়া আমি মোবাইল ফোন রাজ্যের সামনে আনি না বললেই চলে।” ছেলের জন্যে নিজের কাজকেও দূরে রাখেন অভিনেত্রী। হ্যাঁ, ছেলের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এখন মোবাইল ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছেন পরী।