নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্রীকান্ত বোল্লা, দেশের অন্যতম সফল শিল্পপতি। সকল প্রতীকূলতাকে হারিয়ে ধনীর তালিকায় নিজের নাম তুলেছেন শ্রীকান্ত বোল্লা। তবে তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী, চোখে দেখতে পারেন না। সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন, ব্যবসায়িক সাফল্য পেলেন, সেটাই দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা র একটি অংশ। দুবছর আগেই ঘোষণা হয়েছিল যে, এবার সিনেমার পর্দায় ফুটে উঠবে শ্রীকান্ত বোল্লার জীবনী। যাতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করবেন জনপ্রিয় অভিনেতা রাজকুমার রাও।
এরপর থেকেই ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছিল। বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হলেন রাজকুমার রাও। বরাবরই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করার চেষ্টা করেন রাজকুমার রাও। আর তাঁর অভিনয়ও দর্শকদের দ্বারা ব্যপক প্রশংসিত। অবশেষে প্রকাশ্যে এলো প্রবীণ শিল্পপতি শ্রীকান্ত বোল্লার বায়োপিকে রাজকুমার রাও-এর প্রথম লুক। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ১০ মে। এতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করছেন, অভিনেতা জ্যোথিকা, আলায় এফ এবং শরদ কেলকার।
শুক্রবার রাজকুমার রাও তাঁর ইনস্টাগ্রামে শিল্পপতি শ্রীকান্ত বোল্লার আসন্ন বায়োপিক থেকে তাঁর প্রথম চেহারার আভাস দিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে অভিনেতা কে শ্রীকান্তের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। তাঁকে তাঁর শেষ লক্ষ্যের দিকে দৌড়াতে দেখা যায়। সেখানে রাজকুমারকে মেকআপের সাহায্যে পুরোপুরি শ্রীকান্ত বোল্লার লুক দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করে, রাও লিখেছেন, “একটি যাত্রা যা আপনাকে আপনার চোখ খুলতে অনুপ্রাণিত করবে! ১০ মে ২০২৪-এ সিনেমায় মুক্তি পাচ্ছে।”
শ্রীকান্ত বোল্লা কে ছিলেন?
শ্রীকান্ত বোল্লা হলেন একজন ভারতীয় উদ্যোক্তা এবং বোলান্ট ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা, এমন একটি সংস্থা যা পরিবেশ বান্ধব পণ্য তৈরি করতে অদক্ষ এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কাজে নিয়োগ করে। ১৯৯২ সালে ভারতের হায়দরাবাদের কাছে একটি ছোট গ্রামে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করা, শ্রীকান্তের জীবন একটি অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা ছিল। কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া সত্ত্বেও তিনি সমস্ত প্রতিবন্ধিতাকে জয় করেছিলেন। মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বৈষম্য এবং বর্জনের সম্মুখীন হয়ে, তিনি তার শিক্ষার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন এবং অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT) এ অধ্যয়নকারী প্রথম আন্তর্জাতিক অন্ধ ছাত্র হয়ে উঠেছিলেন।
তবে শ্রীকান্তের উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল ভারতে ফিরে আসার পর, যেখানে তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেন। শ্রীকান্ত বোল্লার গল্প শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্যের একটি নয় বরং দৃঢ়সংকল্প, শিক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক চিন্তা কীভাবে সামাজিক পরিবর্তনকে চালিত করতে পারে তার একটি শক্তিশালী উদাহরণ। রাজকুমার রাও অভিনীত ছবিটি তার গৌরবময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।