নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় আছে, প্রেমে জাত-পাত, বয়স, ধর্ম, কিছুই মানে না। মনের দখল মিলে গেলেই তাঁর সঙ্গে সারাজীবন ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখা যায়। তবে ভালোবাসা একবার নয়, দুবার নয় বারবার হয়। প্রথম সংসার ভাঙার পরেও দ্বিতীয়বার সম্পর্ক জোড়া যায়, কখনও কখনও এক ব্যক্তির সঙ্গে আবার কখনও নতুন মানুষের সঙ্গে। যেমন, মাস কয়েক আগেই গাঁটছড়া বাঁধেন বলিউড ও দক্ষিণের স্বনামধন্য অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী। ৬১ বছর বয়সে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়েও কম হাসি ঠাট্টা হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। কলকাতার অভিনেত্রী শকুন্তলার মেয়ের জামাই ছিলেন তিনি। কিন্তু ২২ বছর সংসার করার পর কয়েক বছর আগেই তাঁদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে।
মাস কয়েক আগেই তিনি কলকাতার এক ফ্যাশন ডিজাইনার রুপালী বড়ুয়াকে বিয়ে করেছেন, আর বিয়ের পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন। রূপালী আদতে আসামী। রূপালী বড়ুয়াকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে রীতিমতো সবাইকে চমকে দিয়ে ছিলেন আশিস বিদ্যার্থী। তাঁদের বিয়েতে শুধুমাত্র বিশেষ বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁদের নিয়ে চলছে অনবরত ট্রোলড। আশীষ যখনই কোনও ছবি শেয়ার করেন, তখনই লোকেরা তাঁকে ট্রোল করতে শুরু করে। এবার এই ট্রোলিংয়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আশিস ও রূপালী উভয়েই।একটি টিভি সাক্ষাৎকারে রুপালীকে যখন প্রশ্ন করা হয়, নেতিবাচক মন্তব্য পড়ে আপনার কেমন লাগে?
তখন তিনি বললেন, ‘আমি সেদিকে মনোযোগ দিই না কারণ আমি ওই লোকগুলোকে চিনি না। তাঁরা এমন কিছু দেখেছে যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বাভাবিক নয় কারণ তাঁরা এটি সম্পর্কে জানে না। আমি বাইরে এসে জনগণকে কোনও স্পষ্টতা দিতে চাই না। এটি আমাকে প্রভাবিত করে না কারণ আমি অনেক মন্তব্য পড়ি না। আমার কাছের মানুষ আমাকে সমর্থন করছে। আর আমার কারুর বৈধতা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।” অন্যদিকে ট্রোলিং-এর জবাবে আশিস বললেন- ‘ভালোবাসা আর ভালোবাসা দুটোই সংসার টিকিয়ে রাখে। এর জন্যে কাউকে কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই। আমরা কেউই সেখানে কিছু প্রমাণ করতে যাইনি’ ।
প্রসঙ্গত, আশিস বিদ্যার্থী প্রায় ১১ টি ভাষায় ৩০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি এবং বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন। তিনি ১৯৮৫ সালে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।