নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটাই নাম প্রবীণ অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী। ৬০ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে করে একেবারে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন জনপ্রিয় দক্ষিণী খলনায়ক। সোশ্যাল মিডিয়া হোক সংবাদ মাধ্যম, সব জায়গাতে একটাই নাম আশীষ বিদ্যার্থী। তিনি যে আচমকাই এত বড় বোমা ফাটাবেন তা হয়তো ঘুণাক্ষরে কেউই কল্পনা করতে পারেননি। গতকাল জামাইষষ্ঠীর দিনই কলকাতায় একটি অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাঁদের। সকালে হয়, কোর্ট ম্যারেজ। আর রাতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে রিসেপশনের আয়োজন করেন আশীষ। পাত্রী অসমের কন্যা রূপালী বড়ুয়া। পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। কলকাতায় তাঁর একটি মস্ত বড় ফ্যাশন হাউসও রয়েছে তাঁর। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংসার বাঁধছেন দুজনে। রূপে লক্ষী গুনে সরস্বতী রূপালী।
বিয়ের দিন পবিত্র আসামের ঐতিহ্যগত পোশাক মেখলাতে সাজেন রূপালী। গা ভর্তি সোনার গয়না এবং মাথা ভর্তি আশীষের দেওয়া সিঁদুর। বয়সে তিনি আশীষের থেকে ১০ বছরের ছোট। বয়স ৫০ বছর। অসমেই বেড়ে ওঠা, গুয়াহাটি কটন বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে স্নাতকোত্তর। আশিসের মতো রূপালীরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তবে তাঁর প্রথম স্বামী মৃত। তাঁর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কলকাতায় হ্যান্ডলুম বিপণনীর পাশাপাশি তাঁর একটি ক্যাফেও রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে আশিস ছিলেন কলকাতার জামাই। প্রবীণ অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে অভিনেতার প্রথম স্ত্রী রাজশী বড়ুয়া একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন।
তবে এই পরিস্থিতিতে কেমন আছেন অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়া? একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী শকুন্তলা জানিয়েছেন, “এত বছরে ওদের মধ্যে কোনও ঝগড়া দেখিনি। কী হল বলতে পারব না। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে আর পাঁচ জন মায়ের মতোই চিন্তা করি। কিন্তু জানি, ও ভাল আছে। আমি আর কিছুই চাই না। আশিসও ভাল ছেলে। আশিসকে আমার তরফ থেকে আশীর্বাদ রইল। ওদের ছেলেও বড় হয়ে গিয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করছে এখন। কয়েক দিন আগে দেখাও করে গিয়েছে। আমার সঙ্গে কথা বলে ওরা কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। এ ক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই।” ইতিমধ্যেই আশীষ-রূপালীর নানা ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল রাতে আশীষ-রূপালীর গেট-টুগেদারের ছবিগুলি এখন ভাইরাল।