নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়িতে গুলি কাণ্ডের প্রায় ৬ দিন বাদে বাড়ির বাইরে বেরোলেন সুপারস্টার সলমান খান। গত রবিবার ১৪ এপ্রিল কাকভোরে সলমান খানের মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এরপর থেকেই মুম্বই পুলিশ প্রশাসন সলমনের নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছেন। বহুদিন ধরেই কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নজরে রয়েছেন সলমান খান। জেলে বসেই একাধিকবার তাঁকে মৃত্যু হুমকি দিয়েছে।
অবশ্য সলমানের বাড়িতে এই ঘটনার দায়ভার গ্রহণ করে নিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই। সলমানের গ্যালাক্সির বাড়িতে গুলির বর্ষণ করা বহুদিন ধরেই প্ল্যান করে রেখেছিলেন আনমোল বিষ্ণোইয়ের ঠিক করা সুপারি কিলাররা। ঘটনার দিন বাইকে এসে সলমানের বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আর দুষ্কৃতীরা গুলি চালানোর প্রশিক্ষন বাকি বিহার থেকেই করছিলেন।এই ঘটনাটি ঘটানোর সময় তাঁদের সঙ্গে ৪ লাখ টাকা চুক্তি করা হয়েছিল। এত সিকিউরিটির পরেও সলমানের বাড়িতে কিভাবে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল তা সরকারও বুঝতে নাজেহাল। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সলমানের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। এবং লরেন্স বিষ্ণোইকে খতম করার আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনার ৬ দিন বাদে আজ মুম্বই বিমান বন্দরে দেখা মিলল সলমানের। তাঁকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বিরাজমান ছিল। যদিও ইতিমধ্যেই গুজরাতের ভিজ থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে, সালমানকে একটি নৈমিত্তিক পোশাকে গাড়ি থেকে নামতে দেখা গেছে। তাঁর সঙ্গে তাঁর দেহরক্ষী শেরা ছিল। এবং কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। বাড়িতে গুলিকাণ্ডের ৬ দিন পর মুম্বই বিমানবন্দরে সলমান, তড়িঘড়ি কোথায় চললেন? মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার বিবেক ফাঁসালকার বলেছেন, বৃহস্পতিবার সালমানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তারা গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।সলমান খানকে শেষবার ‘টাইগার 3’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল। তাকে পরবর্তীতে দেখা যাবে সিকান্দার ছবিতে, যেটি পরিচালনা করছেন এ আর মুরুগাদোস।