নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খানের নাম ক্ষণে ক্ষণে সংবাদের শিরোনামে চলে আসে। দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলিকে নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠলেও একেবারেই দমে যাননি নায়ক। এমনকী তাঁর প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস, ইন্ডাস্ট্রির একাধিক নায়িকা তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন মন্তব্য করেছেন। যাই হোক, গতকালই এই সবকিছুর উর্ধে শাকিব খানের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁর অভিনীত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তিনি শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও ধর্ষণের মতো একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং চলাকালীন শাকিবের হোটেলে অনবরত যৌনকর্মীদের যাতায়াত ছিল। সেই টাকা প্রযোজনা সংস্থাকে মেটাতে হয়েছিল।
এছাড়া শাকিব একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীকে এতটাই নির্যাতন করেছিলেন যে, শেষমেষ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি যেতে হয়। এ কারণে অস্ট্রেলিয়াতে শাকিবকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রামাণাদির অভাবে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাইহোক এই সমস্ত অভিযোগের একদিন পরই জানা গেল প্রযোজকের সঙ্গে শাকিব খানের মিমাংসা হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।তিনি জানান, রাজধানীর একটি রেস্তরাঁয় দুজনের মধ্যে বিরোধ মিমাংসা হয়েছে।
গতকাল ১৫ মার্চ বিকেলে সশরীরে এফডিসি তে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং ক্যামেরাম্যান সমিতিতে, শাকিবের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে লিখিত দেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০১৭ সালে পূর্ব চুক্তি মোতাবেক অভিনেতা শাকিব খান ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার কাজে অস্ট্রেলিয়া যান। সেখানে গিয়ে শাকিব খান যে ক্ষতিকর কাজগুলো করেছেন সবকিছু এই লিখিত অভিযোগে রয়েছে।