নিজস্ব প্রতিনিধি: এপার-ওপার দুই বাংলাতেই এখন সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশের অন্যতম চিত্রনায়িকা বুবলিকে গোপনে বিয়ে করেছেন তিনি এবং তাঁদের একটি দু-বছরের পুত্রসন্তানও রয়েছে। তবে শাকিব নয়, এই খবর সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন শাকিবের বেশিরভাগ ছবির নায়িকা বুবলি। তিনি তাঁর দুটি অন্তঃসত্ত্বাকালীন ছবি দিয়ে প্রথম এই খবর প্রকাশ্যে আনেন, তারপরেই শাকিবকে স্বামী ঘোষণা করে তাঁর পুত্রের বাবার পরিচয় দেন। এরপর থেকেই নেটপাড়ায় শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড।
শাকিবের সন্তান নিয়ে টিভি লাইভে অপু, বুবলি এলেন ফেসবুকে! নেপথ্যে কোন রহস্য?
এদিকে ২০১৮ সালে শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে তাঁর প্রথম স্ত্রী ঢালিউডের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের। তাঁদের ঘরেও একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু সেই খবরও প্রকাশ্যে আনতে দেন নি শাকিব। বাংলাদেশের সুপারস্টারের ব্যক্তিগত জীবন এখন সবার মুখে মুখে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নায়কের বিয়ে এবং সংসার নিয়ে একাধিক গুজব রটছে। এবার সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলেন শাকিব। তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়ে মিথ্যাচার ও নানাভাবে হেয় করায় ১৩টি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মানহানির অভিযোগে আইনের পথে হাঁটলেন শাকিব। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার গুলশান থানায় শাকিব খান সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তাঁর অভিযোগ সংক্রান্ত জিডির নম্বর ১৩২৭।
শাকিব খানই সন্তানের নামকরণ করেছিলেনঃ বুবলি
অভিযোগ, কিছু কিছু ফেসবুক ও ইউটিউবে তাঁর নামে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার করছে। যদিও মানহানির অভিযোগ নিয়ে কিছুদিন আগেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ঠিক এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন শাকিব খান। এবার একই অভিযোগ নিয়ে তিনি আইনি পথে হাঁটলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বুবলির সঙ্গে শাকিব খানের বিয়ে ও সন্তানের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই বিষয়েই একাধিক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল শাকিবকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচারিত ভিডিও বানিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক আকারে সেগুলিকে প্রকাশ করেছে। ফেসবুক থেকে সতর্কবার্তা দিয়েও কাজ হয় নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই শাকিবের আইনের আশ্রয় নিয়েছেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী জিডিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘পেশাগত ও ব্যক্তিগত ক্ষতির উদ্দেশ্যে শাকিব খানের কিছু ব্যক্তিগত স্থিরচিত্র, মিথ্যে তথ্য ও ভিডিওচিত্র এবং তথ্য বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করছে। গুটিকয়েক ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজের সংঘবদ্ধ কুচক্রিমহলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড এবং মানহানিকর কর্মতৎপরতা সুস্পষ্ট আইন লঙ্ঘন।
জিডিতে আরও বলা হয়েছে যে, ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট ও ভিডিওগুলির কারণে শাকিবের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু মহল, চলচ্চিত্রে তাঁর বন্ধু ও তাঁর ভক্তরা তাঁকে নানাভাবে হেয় করছেন। জিডিতে অভিযুক্ত ১৩টি ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং এই লিঙ্কগুলি সাইবারে ক্রাইম মনিটরিং সেলে পাঠিয়ে এর সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।