নিজস্ব প্রতিনিধি: বিনোদন জগত বড়ই আজব। এখানে নাম করতেও কালঘাম ছোটাতে হয়, আবার মুখ থুবরে পড়লেও তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যাই হোক, বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষে পৌঁছনোর সময়ে পরিচালক-প্রযোজকদের কু প্রস্তাব পান নি, এমন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সংখ্যা হাতে গোনা। তেমনি সঙ্গীতশিল্পেও এমন প্রচুর ঘটনা বর্তমান। রবিবার একটি সাক্ষাৎকারে গায়িকা সোনা মহাপাত্র, বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার-গীতিকারকে ‘পরিচিত সিরিয়াল যৌন হয়রানিকারী, শ্লীলতাহানিকারী এবং অবশ্যই চৌর্যবৃত্তি কা রাজা (সাংবাদিকতার রাজা)’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। সোনা অতীতে একবার অভিযোগ করেছিলেন যে, সঙ্গীতশিল্পে তাঁর প্রথম দিনগুলিতে অনু তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিলেন। গায়িকা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন অভিযোগ আনা সত্ত্বেও অনুর সাক্ষাৎকার কেন নিয়েছেন সাংবাদিকরা, সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিলেন তিনি একসময়। রবিবার, সোনা অনু মালিকের সঙ্গে তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করেছেন।
যেখানে লেখা ছিল, সুরকারের ‘কৃষ্ণ ভক্তি’ এবং তাঁর কর্মজীবন। এছাড়াও একজন বিশিষ্ট সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তার টুইটে লিখেছেন, “অনু নিজে ‘কৃষ্ণ’ ভক্ত বলে যতই দাবী করুক না কেন, তাঁর পাপ কখনই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে না৷ ২০১৮ সালে একবার এক সাক্ষাৎকারে সোনা অনুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন৷ তখন তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, “আমি প্রথমবার অনু মালিকের সঙ্গে দেখা করেছিলাম ২০০৬ সালের অক্টোবরে এমটিভি লাইক্রা স্টাইল অ্যাওয়ার্ডের রিহার্সালের সময়। তিনি এবং রাম আমাকে আইটিসি গ্র্যান্ড মারাঠা অনুষ্ঠানে দুপুরের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে রাম এবং আমি যখন বিবাহ করেছিলাম তখন আমরা অল্পবয়সী ছিলাম, অনু মালিক জানত না যে আমরা বিবাহিত এবং যে মুহূর্তে আমি বিশ্রাম কক্ষে গেলাম, তখন অনু মালিক একটি অশ্লীল মন্তব্য করেছিলেন আমাকে- বলেছিলেন ‘কেয়া মাল হ্যায় সম্পাথ’।”
শুধু তাই নয়, গায়িকা আরও বলেন যে, সুরকার তখন তাঁকে ঘন্টায় ঘন্টায় রাতে ফোন করতেন এবং অদ্ভুত জিনিস সম্পর্কে কথা বলতে চাইতেন যা সোনার পক্ষে বিরক্তিকর ছিল। তবে অবশ্য সোনা তাঁর ফোন কল নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই একই বছর গায়িকা শ্বেতা পন্ডিত এবং অভিনেত্রী নেহা ভাসিনও অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। আর এই অভিযোগের কারণেই, অনু ২০১৯ সালে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এমনকি টুইটারে সুরকার জানিয়েছিলেন, “এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে যে, আমার বিরুদ্ধে এমন কিছু অভিযোগ করা হয়েছে যা আমি করিনি। আমি এইসব সময় নীরব ছিলাম কারণ আমি সত্যতার প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমি বুঝতে পারি যে এই বিষয়ে আমার নীরবতাকে আমার দুর্বলতা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। দুই মেয়ের বাবা হওয়ার কারণে, আমি যে কাজগুলো করার জন্য অভিযুক্ত তা কল্পনাও করতে পারি না।”