নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার সকালে একটি প্রকাণ্ড অজগরের সঙ্গে ছবি তুলে অসম্ভব সাহসের পরিচয় দেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। কিন্তু সেই ছবি ভাইরাল হতেই সমাজমাধ্যমে অভিনেতাকে রীতিমতো সমালোচনার বন্যা বয়ে গিয়েছে। আসলে তারকাদের জীবনের সমস্ত আপডেট জানতে প্রতিনিয়ত তৎপর নেটিজেনরা। আর সেখানেই কোনও পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় তাঁকে নিয়ে বিতর্ক, এমন ঘটনা টলিউডে রাতদিন ঘটে চলেছে। এই মুহূর্তে ‘প্রধান’ ছবির শুটিংয়ের জন্য উত্তরবঙ্গে রয়েছেন দেব, সৌমিতৃষা, সোহম-সহ ছবির গোটা টিম। আর বৃহস্পতিবার শুটিং করার সময়েই অভিনেতাদের হোটেলের নীচ থেকে উদ্ধার হয় এক প্রকাণ্ড অজগর।
প্রথমে প্রকাণ্ড ইন্ডিয়ান রক পাইথনটির একটি ছবি-সহ সমাজমাধ্যমে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। অন্য দিকে, সাপটির সঙ্গে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সোহম। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই অভিনেতার দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলেছেন, বন্যপ্রাণীর সঙ্গে সঠিক আচরণ করেননি সোহম। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমেই ট্রোলারদের উপযুক্ত জবাব দিলেন সোহম। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে সাপের সঙ্গে সেই ছবিটি আবারও পোস্ট করে সোহম লিখলেন, ‘‘দেখছি, কিছু মানুষ পুরো বিষয়টা না জেনেই নিজেদের মতো মতামত জানাচ্ছেন। হয়তো তাঁরা পুরো বিষয়টার সঙ্গে অবগত নন। হোটেলের নীচে গিয়ে বন দফতরের কর্মীদের সাহায্য করতেই সাপটিকে ধরি। ওর ক্ষতি করার কোনও ইচ্ছে আমার ছিল না।’’
বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে অনেকেই এই বিষয়ে দেবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সোহম লেখেন, ‘‘এই ঘটনায় যে দেবের নাম নেওয়া হচ্ছে, সেটাও ঠিক নয়। কারণ, তিনি বারান্দা থেকে পুরো ঘটনাটি দেখছিলেন। হয়তো আবেগের বশে ছবি তোলা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু অত বড় সাপটিকে কারও ক্ষতি না করে কী ভাবে রাখা যায় তার জন্য সবাই সাহায্য করতেই চেয়েছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ করে হিরো হওয়া যায় না। হিরো হতে গেলে অনেক কাজ আছে, সেগুলো করে নিজের পরিবারকে গর্বিত করো।”