নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সামনেই মুক্তির দিন। ৮ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে অর্জুন দত্তের পরিচালনায় ‘শ্রীমতি’। এই ছবিতে অর্জুনের পরিচালনায় ফের দেখা যাবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। এর আগে পরিচালকের সঙ্গে ‘গুলদস্তা’ ছবিতে কাজ করেছেন স্বস্তিকা। বলে রাখা ভালো এই ছবির মাধ্যমে বাংলা ছবি কিন্তু পেতে চলেছে আরও এক নতুন জুটিকেও। ‘শ্রীমতি’তে জুটি বাঁধতে চলেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও সোহম চক্রবর্তী।
ছবিতে দেখা যাবে কীভাবে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে চলেছেন শ্রীমতি। আদ্যোপান্ত সংসারকে ভালোবেসে ফেলা শ্রীমতির জগত বলতে স্বামী আর সংসার। সঙ্গী বলতে শ্বশুরবাড়ির সদস্য কজন। শ্রীর স্বামীর ভূমিকায় রয়েছেন সোহম চক্রবর্তী। স্বামী অনিন্দ্যর প্রতি কোনও অংশে কম নয় তার ভালোবাসা। তাকে সে সবসময় আগলে রাখে।
শ্রীমতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে পরিচালক অর্জুন দত্ত জানিয়েছেন এই গল্প সাধারণ ঘরের নারীকে নিয়েই বানানো। বলা ভালো আমার মা দিদাকে যেরকম দেখেছি সেভাবেই এই ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। কাজেই একথা বললেই ভালো হয় যে তাঁদেরকেই এই ছবি উৎসর্গ করা। আমি কখনও মহিলা আর পুরুষের মধ্যে বিভেদ করতে বা ক্ষমতাবান নারী শব্দতে বিশ্বাস করিনা। রোজগার না করলেও সেই নারী অসামান্যা হয়ে উঠতে পারেন। আমার মা বা দিদা কোনও দিন বাইরে বেরিয়ে রোজগার করেননি। কিন্তু সংসারের যেকোনো সিদ্ধান্ত মানেই তাঁরাই শেষকথা বলবে। তাই সংসার করা বা সংসার করতে ভালোবাসার গুরুত্বও কোনও অংশে কম নয়।
শুধু তাই নয় ‘গুলদস্তা’র ‘ডলি বাগড়ি’ কিংবা এই ছবির ‘শ্রীমতি’ অর্থাৎ স্বস্তিকা মুখপাধ্যায়কে নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। বলেছেন নানাসময় নানা কারণে চর্চার কেন্দ্রে আসা বিতর্কিত তকমা সেঁটে দেওয়া অভিনেত্রী কিন্তু একেবারেই বিতর্কিত নন। বরং স্বস্তিকা ভীষণ ঘরোয়া। বিতর্কিত কিংবা বিদ্রোহী সে নয়। বাকিদের মত সেও ভালোবাসে প্যাম্পারড হতে, খেতে এবং সর্বোপরি ল্যাদ খেতে। এসবের পরেও স্বস্তিকা যে আদ্যোপান্ত পেশাদার সে কথাও জানিয়েছেন অর্জুন। বাবার পারলৌকিক ক্রিয়া সেরে সেদিনও শুটিং সেরেছেন স্বস্তিকা। একে পেশাদার না বলে তাই উপায় নেই।
একটা আলাদা লুকে এই ছবিতে ধরা দেবেন স্বস্তিকা। পাটভাঙা শাড়ি, হাতে শাঁখা-পলা, কপালে সিঁদুরের টিপ পরে স্বস্তিকা ওরফে ‘শ্রীমতি’ যেন আমাদের আর বাকি পাঁচটা মানুষের বাড়ির মানুষ হয়ে উঠেছেন। ছবির কিছু ঝলক বলে দিচ্ছে একেবারে ন্যাচারাল অভিনয় দিয়েই মন ভোলাবেন দর্শকের তিনি। শুধু তাই নয় নিজের এই সাজ নাকি ভীষণ মনে ধরেছিল স্বস্তিকারও আর তাই পরিচালককে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি তিনি। কারণ এই সাজের মাধ্যমেই নাকি নিজের মায়ের মত হয়ে উঠেছিল সে।