নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন কয়েক আগেই প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী তবাসুম। ৭০-৮০ দশকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তবাসুম। সূত্রের খবর, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বনামধন্য অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। প্রবীণ অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে এখনও গোটা বলিউড শোকস্তব্ধ। প্রবীণ অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই বলিউডের নির্মাতা কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান দুবাই থেকে চটজলদি মুম্বই ফিরে আসেন।
কিছুদিন আগেই ফারাহ ফিল্মফেয়ার মিডল ইস্ট অ্যাচিভারস নাইট ২০২২-এ যোগ দিতে দুবাই গিয়েছিলেন। কিন্তু যখন তিনি তবাসুমের মৃত্যুর কথা শোনেন চটজলদি, তাঁর মুম্বই আসার নির্ধারিত সময়ের ফ্লাইটের আগেই দ্রুত তাঁর ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন করে নেন। যেখানে তাঁর ফ্লাইট আরও কয়েক ঘণ্টা পরে ছিল। তবাসুমের শেষ যাত্রা দেখার জন্যে ফারাহ সঙ্গে সঙ্গে টিকিট বদলে অন্য ফ্লাইটে দুবাই থেকে মুম্বই এসে পৌঁছন। গতকাল সন্ধ্যায় মুম্বই ভিত্তিক আর্য সমাজে আয়োজিত হয় তবাসুমের প্রার্থনা সভা। সেখানে ফারাহকে খুব আবেগপ্রবণ অবস্থায় দেখা যায়।
সেখানেই ফারাহ খান, “তাবাসুম জি তাঁর জন্যে অনেককিছু করেছিলেন, তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিল।” ফারাহ তাবাসুমের ছেলে হোশাংয়ের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এছাড়া ফারাহ হলেন মেনকা ইরানির মেয়ে। আর তিন ইরানি বোন ডেইজি ইরানি, হানি ইরানি এবং মেনকা ইরানি ছোটবেলা থেকেই তাবাসুমের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তাবাসুমের প্রার্থনা সভায় শিল্পের অনেক সেলিব্রিটি উপস্থিত ছিলেন, আনন্দজি, অলকা ইয়াগনিক, নীল নীতিন মুকেশ, মৌসুমী চ্যাটার্জি, সুনিধি চৌহান, জনি লিভার, রাজা মুরাদ, আমান ভার্মা এবং অন্যান্যরা।
১৯৪৭ সালে হিন্দি ছবি ‘নার্গিস’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমেই রূপালী পর্দায় অভিষেক ঘটে তবাসুমের। এর পরে ‘মেরা সুরাগ’, ‘মঞ্জদার’, ‘’বড়ি বহেন’, ও ‘দিদার’ ছবিতে অভিনয় করেন। অল্প কয়েক বছরেই দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বেবি তবসুম। সুপার-ডুপারহিট হিন্দি ছবি ‘বৈজু বাওরা’তে তিনি নায়িকা মীনা কুমারীর ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি দূরদর্শনের সঙ্গে যুক্ত হন। জনপ্রিয় তারকাদের নিয়ে তাঁর অনুষ্ঠান ‘ফুল খিলে হ্যায় গুলশান গুলশান’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। টানা ২২ বছর সম্প্রচারিত হয়েছিল ওই জনপ্রিয় টক শো।