নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে এপার-ওপার দুই বাংলাই মেতে থাকে সবসময়। প্রায়শই সংবাদের শিরোনাম দখলে থাকে তাঁর। ২০২১ সালে পরীমণির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলার রেশ এখনও বহাল, এখনও অভিনেত্রীর মাথায় চেপে বসে রয়েছে। তবে আপাতত স্বস্তি, গত সোমবার দেশের সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এই মামলার কার্যক্রম ৬ মাস স্থগিত থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণও আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার ঢাকার জজ আদালতে এই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
তবে পরীমণির আইনজীবী জানান, আপিল বিভাগ আপাতত ৬ মাসের জন্যে মামলাটিকে স্থগিত রেখেছে। তাই উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দাখিলের জন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধার্য করেছেন। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর পরীমণির বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। বাকি দুইজন হলেন নায়িকার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। এরপর ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিনেত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাড়িতে র্যাব অভিযান চালিয়ে নায়িকার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। মামলায় পরীমণির প্রথম দফায় চারদিন, দ্বিতীয় দফায় দুইদিন ও তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। পরে তাঁকে অন্য কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের ২৬ দিন পর পরীমণিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন পান। একই বছরের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঠিক যে কারণে পরীমণি ঢাকা বোর্ড ক্লাবের তিনজন সদস্যের উপর ধর্ষণ এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই কারণেই পাল্টা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মদ্যপান করে ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে পাল্টা FIR দায়ের করা হয়। আগামিদিনে এই মামলার কতটা নিষ্পত্তি লাভ হবে জানা নেই।