নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহ দুই আগে। যখন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর কয়েকজন বান্ধবী অভিনেত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও। যার মধ্যে ছিলেন, সুনেরাহ, তানজিন তিশা এবং তুষি। এরা তিনজনেই ঢালিউডের অন্যতম সম্মানিত অভিনেত্রী। তাঁদের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হয়ে যেতেই তোলপাড় পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সব দোষ যায় শরিফুল রাজের স্ত্রী পরীমণির কাঁধে। সুনেরাহ দাবি তোলেন যে, পরীমণি নিজের ব্যক্তিগত জীবন প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে আনছেন, এটা তাঁর মুদ্রা দোষ। এরপরেই মাঠে নামেন ঢালিউডের সুপারস্টার অভিনেত্রী পরীমণি।
নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে রাজের বিরুদ্ধে পাল্টা বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে জানান, রাজ প্রায় ১০ দিন তাঁর বাড়ি থাকেনা। ছেলে ও তাঁর খোঁজও নেয়না। এরপরেই জানান, রাজের সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন একেবারেই সুখের নয়। মানিয়ে নেওয়ার অনেক চেষ্টা করছেন। কিন্তু আর তিনি মানাতে পারছেন না। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এসে তিনি রাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উজাড় করলো কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু এর দিন কয়েক বাদেই আচমকাই ভোল বদল।গতকাল রাজ্যের দশমাস পূর্ণ হয়েছে। সেই কারণে পরীর বাড়িতে তাঁর নানুর পাশাপাশি দেখা মিলল রাজ্যের বাবারও। আর রাজকে পরীর পাশে দেখে খুশী হলেন ভক্তরা। কিন্তু পরীর এমন ভোলবদল দেখে কম অবাক হয়নি ট্রোলাররা। তবে কি সম্পর্ক জোড়া লাগলো রাজ-পরীর, এমন হাজার প্রশ্নে জেরবার নেটপাড়া। যা নজর এড়োয়নি অভিনেত্রীরও। অবশেষে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
এমন সম্ভবনার কথা উড়িয়ে দিয়ে পরীমণি সোমবার ভোরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘আপনাদের মধ্যে অনেকের মতো আমিও খুশি হয়ে যাই খবরের এ সব শিরোনাম দেখে! সব ভুলে আবার এক হলেন…… কিন্তু সব কি আর সব সময় এক হয়? আমরা ১০ তারিখটা (যেটি আমাদের জীবনের অন্যতম বিশেষ দিন, আমাদের বাচ্চার পৃথিবীতে আসার দিন এটি) উদ্যাপন করেছি মাত্র। আগামী দিনেও করব। যেখানে আমরা জীবনের অন্য কোন ইস্যু টানব না। ৯ তারিখ রাতে নানাভাই (পরীমণির দাদু) ঢাকায় আসেন। তার পর এই আয়োজন। শুধু নানাভাই রয়ে গেলেন আমার কাছে। আর, রাজ চলে গেল রাজের মতো……… আশা করি এটা এখানেই শেষ হবে।’ এর আগেও বহু বার রাজের সঙ্গে বহু অশান্তি হয়েছে পরীর। তার পর আবার মিটমাটও হয়ে যায় দু’জনের। এ বার কী হয়, সেটাই দেখার পালা।