নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক বিপর্যয়। গতকালই তোলাবাজির মিথ্যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে। সূত্রের খবর, গাজীপুরের ঘুষখোর, তোলাবাজ, পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুখ খুলেই বিপাকে পড়েন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী মাহি। মোল্যা নজরুল ইসলাম আদতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের পোষ্য পুত্র। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে কেউই কোনও সময়ে মুখ খোলেন না। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই মুখ খুলে গ্রেপ্তার হন মাহি। যদিও কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মাহির বিরুদ্ধে গুচ্ছ মিথ্যে মামলা দায়ের করেন মোল্যা।
এদিকে মাহি গ্রেপ্তারের আগেই ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে আইনি কোপে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খান। আর এই অভিযোগের পাল্টা প্রতিবাদে শনিবার, রাত ১১টা নাগাদ গুলশন থানায় হাজির হন অভিনেতা শাকিব খান। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন তাঁরই ছবির প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এবার সেই প্রযোজকের বিরুদ্ধেই উল্টে মানহানির মামলা ঠুকতে থানায় গিয়েছিলেন শাকিব। কিন্তু অবিলম্বে তাঁকে ফেরৎ পাঠানো হয়, তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে গুলশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরমান আলি শাকিব খানকে বলেন, “আপনার ইস্যুটা বিগ ইস্যু। যেহেতু শাকিব খান, তাই আমাকে এখন অনেকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে কথা না বলে আমি এই মামলা নিতে পারব না। আপনি যে ধরনের অভিযোগ করতে এসেছেন, তা থানায় নয় আদালতে করতে হবে। তাই আমি মামলা নিতে পারব না।”
এত কথার পরও রাত ১২টা পর্যন্ত থানাতেই ছিলেন নায়ক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী খায়রুল হাসান। এদিকে বাংলাদেশের এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। রহমত আসলে এই ছবির প্রযোজকই নয়। ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবিটির আসল প্রযোজক হলেন ভারটেক্স মিডিয়ার জানে আলম। চুক্তিপত্রেও তাই লেখা আছে। আমি এই ভুয়ো প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।” গত বৃহস্পতিবার শাকিবের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির প্রযোজক বলেন, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ছবির শুটিংয়ের সময় ছবির মহিলা সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেন এবং এক অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীকে চরম নির্যাতন করে দেশে পালিয়ে আসেন শাকিব।