নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ফের বিপাকে সোশ্যাল মিডিয়ার অতি আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। একাধিকবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েও কোনও কাজের কাজ করতে পারেননি। এক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো রাজ করতেন হিরো আলম। মজার হলেও তাঁর সমস্ত কন্টেন্ট বেশ দাপিয়ে বেড়াত সোশ্যাল মিডিয়ায়। হাসির জোয়ারে মজে যেত নেটি নাগরিকরা।
তবে এই কারণে একাধিকবার আইনের পাল্লায় পড়তে পড়তেও সেখান থেকে ফিরে এসেছেন হিরো, বিখ্যাত সব গানগুলি নকল করেই বিতর্কে জড়াতেন হিরো আলম। একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানও ভুলভাল সুরে গেয়ে আইনের পাল্লায় পড়ে ছিলেন তিনি। তবে এখন দেশসেবাতেই মজেছেন হিরো আলম। কয়েকবার বাংলাদেশ নির্বাচনে দাঁড়িয়েও ডাহা ফেল করেছেন হিরো আলম। ৭ জানুয়ারী হয়ে যাওয়া দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনেও কয়েক ভোটে হার হয়েছে হিরো আলমের। সেখানেও অনেক মারধর খেয়েছেন বিরোধী দলের কাছে। তাও তিনি দমেন নি। এবার হিরো আলমকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে এক দুর্বৃত্ত। তাও আবার হিরো আলমের কাছে দুদিন সময় রয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্বৃত্ত। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে হিরো আলমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পিস্তলের ছবি ও বার্তা পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এদিন হিরো আলম নিজেই তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে হোয়াটসঅ্যাপের দেওয়া হুমকির স্ক্রিনশর্ট তুলে জানান, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি +৯৭১ কোড সংবলিত একটি নম্বর থেকে তার হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। রাত ৩টা ২৫ মিনিটে ওই ব্যক্তি আরেকটি খুদে বার্তা পাঠায়। সর্বশেষ রাত ৩টা ২৮ মিনিটে পিস্তলের ছবি পাঠিয়ে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি লিখেন, প্রকাশ্যে তোরে গুলি করমু…। এখন ঢাকার বাইরে আছি। নিরাপত্তার জন্য কাউকে অবস্থান সম্পর্কে জানাচ্ছি না। তবে দ্রুত ঢাকায় ফিরে আইনি পদক্ষেপ নেব। আমি নিরপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। আমি আসিফ মাহাতাবকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করিনি। কে, কেন হুমকি দিয়েছে জানি না।” হিরো আলমের করা পোস্টে দেখা যায়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে শিক্ষক আসিফ মাহাতাবকে নিয়ে মন্তব্যের জন্যই তাঁকে এমনটা হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ হিরো আলমের।