নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাঁকে। মোটা ফিগারের জন্যে অনেক কটূক্তি শুনতে হয়েছে, এমনকী একই ছবিতে তাঁর সহকর্মীরা মোটা হওয়ার জন্যে তাঁকে নিয়ে কম হাসিঠাট্টাও করেনি। সম্পূর্ণ অভিনয় দক্ষতার জোরে নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভেঙে দিয়েছেন বলিউডের বাধাধরা ত্যাবু। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী বিদ্যা বালন কে নিয়ে। তাঁকে নিয়ে আলোচনার করার কারণ, রবিবারে বছরের শুভ সূচনায় ৪৪ বছরে পদার্পণ করলেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিন। আজ জানাব অভিনেত্রীর কেরিয়ারের একটি অজানা দিক। শোনা যায়, শুরুতে অভিনেত্রী কিংবদন্তি লেখক, পরিচালক গুলজার সাহেবের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন। ২০১৯ সালের একটি সাক্ষাৎকারে, বিদ্যা বালান নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি সর্বদা গুলজারের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন। তবে গুলজার সাহেব অনেক আগেই চলচ্চিত্র পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন।
২০০৫ সালে সঞ্জয় দত্ত-অভিনীত পরিণীতার মাধ্যমে বিদ্যা বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি লাগে রাহো মুন্না ভাই (2006), ভুল ভুলাইয়া (2007), দ্য ডার্টি পিকচারের (2011)মতো একাধিক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও মিশন মঙ্গল (2019), শকুন্তলা দেবী (2020), কাহানি-র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সৌন্দর্য দিয়ে নয়, তাঁর বর্ণাঢ্য অভিনয় ইউনিক একটি দিক রয়েছে। যা সবসময় দর্শকদের আকৃষ্ট করে। তবে বিদ্যা সবসময় কাজ করতে চেয়েছিলেন, গীতিকার, ফিল্ম নির্মাতা গুলজারের সঙ্গে।
তাঁর কথায়, “আমার কোনো বাকেট লিস্ট নেই। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার চাহিদা সব সময়ই পূরণ হয়েছে। আমার বাবা-মা আমাদের স্বপ্ন দেখার স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমার বোন একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমি চলচ্চিত্রে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার কখনই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য ছিল না। আমি কেবল অদূর ভবিষ্যতের কথাই ভাবি। এর কারণেই আমার জীবন সুখের। এমনকী শুরুতে আমি তারকা হওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। তবে হ্যাঁ, আমি সবসময় গুলজার সাহেবের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি আর পরিচালনা করেন না এখন। অনেকবার, আমি গুলজার সাহেবকে নির্লজ্জভাবে জিজ্ঞাসা করেছি যে, ‘এক বিজ্ঞাপন ফিল্ম কর লিজিয়ে মেরে সাথ’। আমি উডি অ্যালেনের সঙ্গেও কাজ করতে চাই।” বিদ্যাকে শেষ দেখা গিয়েছিল সুরেশ ত্রিবেণীর জলসায়, যেখানে তিনি একজন সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।